এ সময় আদালতে প্রসিকিউশন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদলসহ অনেকে। অন্যদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হাসান।
এর আগে এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২১ জুলাই মামলাটির রায়ের জন্য অপেক্ষমান রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। পরে গত ১৪ অক্টোবর মামলাটির রায়ের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ভয়ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে ধর্মান্তর ও দেশান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিরা গাইবান্ধা সদরের নান্দিদা ও ফুলবাড়ি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সবাই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আসামিদের মধ্যে মো. আবদুল জব্বার, মো. জাফিজার রহমান খোকা ও মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল ১৯৭১ সালের আগে থেকেই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। জব্বার ও খোকা মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৯৭২ সালে গ্রেফতার হলেও তাদের কোনও বিচার হয়নি।
খোকার বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর কাফরুল থানার উত্তর ইব্রাহিমপুর। তিনি ১৯৭৫ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে অবসর নেন। মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ ১৯৭৪ সালে কৃষি বিভাগে চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১২ সালে অবসর নেন বলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার অভিযোগে বলা হয়েছে।