নিহতরা হলো- মো. জুনায়েদ (৩৬), আয়ুব (৩০), মেহেদী হাসান (৩৫) ও ইমরান (৩২)। ঘটনাস্থল থেকে সাতটি দেশীয় এলজি, পাঁচটি কিরিচ, ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানিয়েছেন, রাতে টেকনাফ উপজেলা নুরুল্লাহঘোনা পাহাড়ি এলাকায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি আবদুল হাকিম ডাকাত, কুতুবদিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানার বেশ কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি জুনায়েদ ডাকাত, আয়ুব ডাকাত, মোস্তাক ডাকাতসহ ১০/১৫ জন ডাকাত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে নামে পুলিশ। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ডাকাতের গুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান ও পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া গুলিবিদ্ধ হন। ওসি প্রদীপ নিজে, এএসআই সজিব ও কনস্টেবল মেহেদী আহত হন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত ডাকাত জুনায়েদ, আয়ুব, মেহেদী হাসানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ রোডের দরগার পাড়া এলাকায় দুই ইয়াবা কারবারি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ইমরান মোল্লা নামে এক ইয়াবা কারবারির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস আরও জানিয়েছেন, রাতে ওই স্থানে দুই ইয়াবা কারবারি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। এসময় আহত অবস্থায় মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলা গিয়ারকুল এলাকার মৃত জহিরুল মোল্লার ছেলে ইমরান মোল্লাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার পশ্চিম এনায়েতপুর এলাকার মোখলেসুর রহমানের ছেলে সাইফুদ্দিন শাহিন (৩৮) ও টেকনাফ উপজেলার হাতিরঘোনা মৃত বাচা মিয়ার ছেলে মো. সিদ্দিক (২৭)। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে পৃথক মামলা হয়েছে। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন মিতু জানান, আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে আনা হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। জখম গুরুতর না হওয়ায় সকাল ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।