ভোর থেকে কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছেন সাথী নামে এক নারী। এসে দেখেন তার সামনে অনেকে দাঁড়িয়ে গেছে। তার সিরিয়াল আসতে আসতে টিকিট থাকবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কার তার। জানালেন, ভোরে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। আমার সামনে অনেকে দাঁড়িয়ে আছে। শেষ পর্যন্ত টিকিট কপালে জুটবে কিনা তা দিয়ে চিন্তায় আছি। আজ টিকিট না পেলে আগামীকাল আবার আসবেন। আগামীকালও না পেলে এবার ঈদে বাড়িই যাবেন না বলে জানান।
লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের টিকিট কিনতে এসেছেন মোস্তফা। তিনি বলেন, টিকেটের জন্য গতকাল বুধবার রাত আটটায় কমলাপুর স্টেশনে আসি। তারপরেও তার সামনে অনেকে বসা। কিন্তু তিনি টিকিট পাবেন বলে আশাবাদী।
এদিকে সকাল নয়টা থেকে স্টেশনে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয় ছয়টা থেকে। কিন্তু সকাল থেকে রেলের অ্যাপসে অনেকে ঢুকতে পারছেন না অভিযোগ করেছেন। মাঝে মাঝে কাজ করলেও আবার বিকল হয়ে যাওয়ায় টিকিট কিনতে ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
এছাড়া যারা স্টেশনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন তাদের অনেকেও অনলাইনে টিকিট টাকার জন্য চেষ্টা করলেও পারেননি বলে জানান।
রেজাউল করিম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে ঈদ করতে যাবেন। এজন্য সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে অনলাইনে সচল থাকেন। রেজাউল জানান, সকাল ছয়টার পর দীর্ঘ সময় অনলাইনে টিকিট কাটার চেষ্টা করলেও পারেননি। এছাড়া রেলসেবা অ্যাপেও ঢুকতে পারেননি।
তার মতো আরও অনেকে ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য রেলসেবা অ্যাপে প্রবেশ করতে না পারার অভিযোগ করেছেন। যদিও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছিল এবার একসঙ্গে লক্ষাধিক মানুষ অ্যাপে হিট নিতে পারবে। অর্থাৎ অনেক মানুষ একসঙ্গে অ্যাপে প্রবেশ করলেও সেটি গত ঈদের মতো ডাউন হবে না। অ্যাপের সমস্যার বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।