এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করার পর এই তথ্য পাওয়া গেল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সিজান, শরিফ ও সজীব।
রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সিজান আগে থেকেই গাড়ি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। কিছুদিন আগে এক ব্যক্তির সঙ্গে আট লাখ টাকা মূল্যের একটি এলিয়েন গাড়ি বিক্রির চুক্তি হয়। পরে সিজান এলিয়েন মডেলের গাড়ি ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় সিজানের বাসায় শরীফ ও সজীব মিলে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ওই ঘটনার রাতে নিউমার্কেটের একটি দোকান থেকে দুটি সুইচ গিয়ার চাকু কেনে। পরে রাত ১১ টার দিকে সিজান বাড্ডার আফতাব নগর থেকে উবারের মাধ্যমে একটি গাড়ি ডাকে। কিন্তু সেই গাড়িটি এলিয়েন ব্যান্ডের না হওয়ায় তা বাতিল করে দেয়। এভাবে একের পর এক কল করার পর পঞ্চম কলে উবারের এলিয়েন গাড়ি পায়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিজান সেই চালককে নিয়ে পূর্ব রামপুরার ইস্টার্ন হাউজিংয়ে এসে শরিফ ও সজীবকে নিয়ে উত্তরার উদ্দেশে রওনা হয়। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর রোডের নিরিবিলি একটি স্থানে গাড়ি থামাতে বলে এবং উবার চালককে বিল পরিশোধ না করে সেখানে অপেক্ষা করার জন্য বলে।
আব্দুল বাতেন বলেন, ‘ওই স্থানটি নিরাপদ মনে করে সাড়ে ১২টার দিকে সিজানের ইশারায় চালকের গলা কাটা হয়। কিন্তু গলা কাটা শুরুর পরও আরমান গাড়ি সামনের দিকে টান দেয়। পরে গাড়িটি একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খায়। ছিনতাইকারীরা চালক আরমান মরেনি ভেবে ও পরিবেশ অনুকূল না হওয়াতে গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন উত্তরায় একটি এলিয়েন গাড়ির ভেতর থেকে উবার চালক আরমানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।