দেশজনতা অনলাইন ডেস্কঃ গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, কোন কোন ভবন পরিকল্পনা বা নিয়মের বাইরে তৈরি হয়েছে, তা ১৫ দিনের মধ্যে চিহ্নিত করা হবে। সেসব ভবন প্রয়োজনে সিলগালা করে দেয়া হবে, অপসারণ করা হবে অথবা উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি না করা পর্যন্ত সব কার্যক্রম স্থগিত রাখা হবে।
এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি মালিক, ব্যবসায়ী, ডেভেলপার-এমনকি সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পূর্তমন্ত্রী।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
মার্কেটের কাঁচাবাজারের পূর্ব পাশের অংশে ভোর ৫ টা ৫৫ মিনিটে আগুন লাগে।
ডিএনসিসির এ মার্কেটে ১৫০ টির বেশি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে কাঁচাবাজারের সব দোকান ভয়াবহভাবে পুড়েছে।এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরবেলা একই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এ ভবন নিয়ে আগেও অভিযোগ ছিল বলে তিনি শুনেছেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় এবার যেদিন তদন্ত শেষ হবে, পরের সপ্তাহে প্রতিবেদনটি জনসমক্ষে তুলে ধরা হবে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, মানুষকে একটি চেতনায় এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি না হলে শুধু রাজউক, মন্ত্রী, এমপি কিছু করতে পারবেন না, সমাধান করতে পারবেন না। আমি তো খোলামেলা বলেছি। যেখানে যে অভিযোগ আছে, আমাকে সরাসরি জানান। আমরা অ্যাকশনে যাব।
মন্ত্রী জানান, ঘটনাটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে যে দুর্ঘটনা ঘটছে, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী চান, একজন মানুষও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না থাকেন।
এ সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।