২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:০৪

রক্তচাপ পরিমাপের বিষয়-আশয়

স্বাস্থ্যের অনেক বিষয়ই নিজেকে জানতে হয়। যেমন—রক্তচাপ মাপার পদ্ধতি। চিকিৎসকের সাক্ষাৎ ছাড়া তো আর রক্তচাপ মাপা হয়ে ওঠে না। তাই নিজের শিখে নেয়াই ভালো। রক্তচাপ মাপার ধারণা নিয়েই আজকের টিপস—

সর্বোচ্চ বনাম সর্বনিম্ন

রক্তচাপ পরিমাপের ওপরেরটা নাকি নিচের নম্বর বেশি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে, তা নিয়ে আপনার সংশয় আছে। ওপরের নম্বরটি আপনার ‘সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার’ প্রকাশ করে। হৃৎপিণ্ড যখন পাম্প করে তখন রক্তনালীতে রক্তের চাপ নির্দেশ করে এটা। গোটা দিনে এমন অনেক পরিস্থিতি আসে যখন সিস্টোলিক চাপ কিছু সময়ের জন্যে কমবেশি হয়। ব্যায়াম, উদ্বেগ ইত্যাদি কারণে মুহূর্তে সিস্টোলিম প্রেসার বেড়ে যেতেই পারে। আর নিচের নম্বরকে বলা হয় ‘ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেসার’। এ কথা সবাই জানেন, যে স্বাভাবিক মাত্রার রক্তচাপ হলো ১২০-৮০। যদি আপনার সিস্টোলিক প্রেসার ১২০-এর বেশি কিংবা ডায়াস্টোলিক প্রেসার ৮০-এর বেশি হয়, তবে বুঝতে হবে আপনি উচ্চ রক্তচাপ সমস্যার দিকে যাচ্ছেন।

কোন নম্বরের বেশি গুরুত্ব

চিকিৎসকরা সব সময় এক মত দেননি। বহু বছর ধরে ডায়াস্টোলিক পরিমাপটিকেই গুরুত্ব দেওয়া হতো। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, বহুকাল ধরে ডায়াস্টোলিক প্রেসারকেই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু নিচেরটায় মন দেওয়া হলো কেন? কারণ এটাকে ‘বেজলাইন প্রেসার’ বলে গণ্য করা হয়। ওপরেরটি স্বল্প সময়ের রক্তচাপ প্রকাশ করে। আর নিচেরটি বেশি হলেই কেবল উচ্চ রক্তচাপ বলে বিবেচনা করা হতো।

এখন গুরুত্ব পাচ্ছে ওপরেরটা

আধুনিক চিকিৎসকরা মনে করেন, কোনো মানুষের স্বাস্থ্যগত অবস্থা বুঝতে দুটি নম্বরকেই বুঝতে হবে। ব্লাড প্রেসার ইউকে জানায়, ওপরের নম্বরটিই বেশি জরুরি। এক গবেষণায় তারা বলেছে, ডায়ালোস্টিক প্রেসার স্বাভাবিক বা কম হলে এবং সিস্টোলিক প্রেসার বেশি হলে তাকে বলা হয় ‘আইসোলেটেড সিস্টোলিক হাইপারটেনশন (আইএসএইচ)’। এটা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। অনেকেই মনে করেন, দুটি নম্বরই বিবেচ্য হলেও ওপরের নম্বরটি আপনার স্বাস্থ্যগত অবস্থা স্পষ্ট করে।

প্রকাশ :নভেম্বর ২৬, ২০১৮ ১২:৪৭ অপরাহ্ণ