পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারের পর আজ কক্সবাজারে একমাত্র ওয়ানডেতে সেই পাকিস্তানকেই ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। খাদিজাতুল কুবরা ৬ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দিয়েছিলেন ৯৪ রানেই।
৬ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানি ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দিয়েছেন অফ স্পিনার খাদিজাতুল কুবরা।
সফরে এসে চার টি-টোয়েন্টি ম্যাচের তিনটিতেই (একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত) জিতেছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপ জেতা বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের জন্য এটি বড় ব্যর্থতাই। আজ কক্সবাজারের একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচটা তাই ছিল তাদের জন্য সম্মান পুনরুদ্ধারেরই। সে মিশনে সফল তারা। পাকিস্তানকে আজ ৮ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের ‘বদলা’ কিছুটা হলেও নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
আজ বাংলাদেশের জয়ের মূল কারিগর খাদিজাতুল কুবরা। ডানহাতি এই অফব্রেক বোলারের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। ৯.৫ ওভার বোলিং করে ১ মেডেনে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন তিনি। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানি মেয়েরা এরপর স্কোরবোর্ডে ৯৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে জাভেরিয়া খানের ব্যাট থেকে—৪৬ বলে ২টি চারে ২৯ রান করেন তিনি। এ ছাড়া ওপেনার আয়েশা জাফর আর মুনাবীরা আলী দুজনেই করেছেন ১৮ রান করে। অথচ এই দুইয়ের ওপেনিং জুটি ছিল ৩৮ রানের! খাদিজা ছাড়াও বাংলাদেশের রুমানা আহমেদ নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন লতা মণ্ডল আর জাহানারা আলম।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা রানেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শূন্য রানে আয়েশা রহমান এলবিডব্লু হয়ে যান সানা মীরের বলে। ৬ রানের মাথায় শারমিন আখতার রান আউট হয়ে ফিরলে আরও একটি হারের শঙ্কা পেয়ে বসে বাংলাদেশের মেয়েদের। তবে এরপর অবশ্য ফারাজানা হক ও রুমানা আহমেদের মধ্যে গড়ে ওঠা ৮১ রানের এক জুটিতেই বাজিমাত করেছে বাংলাদেশ। ফারাজানা ৪৮ রান করেন ৮১ বলে, ৩ চারে। রুমানা ৩৪ করেন ৭০ বলে, ২ বাউন্ডারিতে। রুমানাকে এলবিডব্লু করেন সানা মীর। ডায়ানা বেগের বলে বোল্ড হন রুমানা। উল্লেখ করার বিষয় হচ্ছে, দলীয় ৮৭ রানের মাথাতেই ফেরেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটিং পারফরমার। এরপর লতা মণ্ডল (৩) আর ফাহিমা খাতুন (৫) অবশ্য ঠান্ডা মাথায় দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।