ইনজুরির কারণে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের টেস্ট এবং টি২০ অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্বের ভার পড়বে মাহমুদুল্লাহর কাঁধে। তামিম ইকবাল জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত থাকায় সেই দায়িত্বটা আরও ভারী হয়ে উঠবে। মুশফিককে নিয়েও আছে শঙ্কা। তবে মাহমুদুল্লাহ আত্মবিশ্বাসী। তিনি মনে করছেন, দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কাজটা তিনি ঠিকঠাক করতে পারবেন।
সাকিবের অনুপস্থিতিতে স্পিন অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ এর আগেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে নেতৃত্ব ছিল তার কাঁধে। সেবার অবশ্য ভালো করতে পারেননি। তবে নিদাহাস ট্রফিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে বেশ এগিয়ে নিচ্ছিলেন। ফাইনাল এবং তার আগের ম্যাচে সাকিব ফেরায় সেবার মাঝপথেই শেষ হয় অধিনায়কের দায়িত্ব। এবার আবার সাকিবের ইনজুরির কারণে দলের টেস্ট এবং টি২০ অধিনায়কের দায়িত্ব পড়তে যাচ্ছে মাহমুদুল্লাহর ওপর।
ঘরের মাঠে চলতি মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে টাইগাররা। পূর্ণাঙ্গ দুই সিরিজ ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মাঝখানে মিলবে একটু বিশ্রাম। নিজের অধিনায়কত্বের ব্যাপারে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘অধিনায়কত্ব চ্যালেঞ্জিং কাজ বলে সবসমই আমি এই ভার নিতে পছন্দ করি। এছাড়া দলকে নেতৃত্ব দেওয়া অনেক সম্মানের ব্যাপার। আমি যদি নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পায় তবে তা পালন করতে প্রস্তুত।’
বাংলাদেশ দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের ইনজুরি ভাবাচ্ছে মাহমুদুল্লাহকেও। এমনকি তিনিও পুরোপুরি সুস্থ নন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময়ও দলের খেলোয়াড়দের ইনজুরি ছিল বলে উল্লেখ করেন এই অলরাউন্ডার। এর মধ্যে দিয়েই খেলা চালিয়ে নিতে হবে বলে মনে করেন তিনি, ‘সম্ভবত টানা খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এমনটা হচ্ছে। আমারও পাঁজড়ের ইনজুরি আছে। বিশ্রাস নেওয়ার এখন কিছুটা কমেছে। সিরিজ শুরুর আগেই ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’