স্পোর্টস ডেস্ক:
২০১৬ সালে একই মাঠে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সা-সেভিয়া। সেবার ২-০ গোলে জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা। তবে দুই বছর আগের শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে নির্ধারিত ৯০ মিনিট বার্সাকে রুখে দিতে পারলেও শনিবার (২১ এপ্রিল) রাতের ম্যাচে উল্টো গোলবন্যায় ভেসে গেল সেভিয়া। ৫-০ গোলের ব্যবধানে সেভিয়াকে এবার বিধ্বস্ত করে টানা চতুর্থবারের মতো কোপা দেল রে শিরোপা ঘরে তুলল বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ভালবার্দের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ২ গোল হজম করে সেভিয়া। ১৯৮০ সালের পর কোপা দেল রে ফাইনালে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় এটি। সেবার রিয়াল শিরোপা জিতেছিল ৬-১ গোলের ব্যবধানে। বার্সার হয়ে সুয়ারেজ দু’টি, মেসি-ইনিয়েস্তা-কুতিনহো একটি করে গোল করেন।
প্রথমার্ধের ১৪ মিনিটে সেভিয়ার জালে প্রথম বল জড়ান লুইস সুয়ারেজ। কুতিনহোর পাস থেকে তার এ গোল হয়। এরপর বেশ কিছুক্ষণ আক্রমণাত্মক ফুটবলে সেভিয়ার রক্ষণকে হাঁপিয়ে তোলেন মেসি-সুয়ারেজরা। ৩১ মিনিটে আর্জেন্টাইন গোলমেশিন মেসি দ্বিতীয় গোল করে স্কোরলাইন ২-০ তে নিয়ে যান। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা-জোর্দি আলবার সমন্বিত আক্রমণ থেকে পাস পান আর্জেন্টাইন তারকা। পরের গোলটি আসে ম্যাচের ৪০ মিনিটে, দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন সুয়ারেজ। সুবিধাজনক জায়গায় মেসিকে পেয়ে তাকে পাস দেন সুয়ারেজ। এরপর ডি-বক্সের ভেতরে সুয়ারেজকে ফিরতি পাস দেন মেসি। বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধে ইনিয়েস্তার একটা শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এরপর একবার অফসাইডের আরেকবার ফাউলের শিকার হন মেসি। এসব না হলে প্রথমার্ধেই গোলের সংখ্যা হয়তো আরও বাড়তো। তবে ম্যাচে সবার চোখ ছিল ইনিয়েস্তার দিকে। বার্সার হয়ে নিজের শেষ ফাইনালকে স্মরণীয় করে রাখতে তার যে একটা গোল দরকার। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে সে কাজটিই করেন স্প্যানিশ তারকা। ৫২ মিনিটে তার গোলে ৪-০ তে এগিয়ে যায় বার্সা। এবারও বল বানিয়ে দেন মেসি। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে সেভিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন কুতিনহো। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের ব্যবধান ৫-০ তে নিয়ে যান কুতিনহো।
চ্যাম্পিয়নস লিগে রোমার কাছে হেরে বিদায় কাতালানদের বেশ পোড়াচ্ছিল। কোপা দেল রে বিজয় নিশ্চয় সে ক্ষত কিছুটা উপশম করবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি