২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:৫০

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে তামিমের আফসোস

স্পোর্টস ডেস্ক:

আগামীকাল পর্দা নামবে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। মাশরাফির রেকর্ড বোলিং, ৪৭টা সেঞ্চুরি; অনেক কিছুই হলো এবারের ঢাকা লিগে। কিন্তু দেখা গেলো না দেশের সেরা দুই ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের ক্রিকেট। দুইজনই ইনজুরির কারণে মিস করেছেন এবারের লিগ। গতকাল তামিম ইকবাল বললেন, তিনি নিজে দারুণ মিস করেছেন খেলাটা।

গতকাল নিজের ইনজুরির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে তামিম বলছিলেন, ‘আমার পুরোপুরি সুস্থ হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার আজ তিন বা চার নম্বর দিন গেলো। প্রতিদিনই কিছু না কিছু কাজ থাকছে ; হয়তো ট্রিটমেন্ট চলে বা পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলে। পুরো সময় কাটিয়ে যদি সুস্থ হতে পারি, তাহলে ইনজুরির জায়গাগুলো শক্তভাবে নতুন করে তৈরি হবে। সেটা ভালো হবে। কারণ একবার খেলা শুরু হলে বিরতিহীনভাবে চলতে থাকবে। অনেকগুলো খেলা আছে। এ কারণে সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। এখন যদি ঠিকভাবে রিকভার করতে পারি, তাহলে সামনে আর সমস্যা হবে না।’

এই ইনজুরি তাকে একেবারেই বাইরে রেখেছিল এবারের লিগ থেকে। সে নিয়ে আফসোসের সীমা নেই বাহাতি এই ওপেনারের, ‘সত্যিই ঢাকা লিগ খেলাটা খুব এনজয় করি। ডোমেস্টিকের এই আসরটাই আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি। এই আসরের ক্রিকেটের মান অনেক উঁচুতে। এই আসরে খেলোয়াড়রা শতভাগের চেয়ে বেশি এফোর্ট দেয়। এ রকম একটা আয়োজনে খেলতে না পারাটা হতাশাজনক।’

তামিম-সাকিব না থাকলেও লিগে এবার রানের বন্যা করেছেন ব্যাটসম্যানরা। ৪৭টি সেঞ্চুরি হয়েছে। এটাকে খুব ইতিবাচকভাবে দেখছেন তামিম, ‘এটা অবশ্যই ইতিবাচক ইঙ্গিত। আপনি যেখানেই রান করুন না কেনো রান করাটাই বড় ব্যাপার, বোলারদের মান কেমন ছিল সেটা বড় নয়। অনূর্ধ্ব-১৩ দলে হোক বা জাতীয় দলে হোক, রান করা সহজ কাজ নয়। ৪৭টি সেঞ্চুরি অনেক বড় ব্যাপার। আশা করি সামনে আরো বাড়বে।’

যদিও এই সেঞ্চুরির তালিকায় অধিকাংশই ছিলেন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা। তরুণদের ব্যাট জাতীয় দলের মতোই অনেকটা নিষ্প্রভ ছিল। সে নিয়ে একটু হতাশ তামিম, ‘অবশ্যই তরুণদের কাছ থেকে যদি আরো বেশি অবদান পাওয়া যায়, তাহলে এটা দলের জন্য খুবই ভালো হবে। কিন্তু আমি আসলে সব সময় দেখি ওরা কঠোর পরিশ্রম করে। হয়তো বা রেজাল্টটা পাচ্ছে না। তবে আমি আশা করি খুব দ্রুত ওরা ফলাফলটা পাবে এবং আরো বেশি অবদান রাখতে পারবে জাতীয় দলের জন্য। যদি আমাদের চার-পাঁচজনের (সিনিয়রদের) সাথে ওরাও অবদান রাখতে শুরু করে, তাহলে আমরা আরো ভালো দল হয়ে দাঁড়াবো।’

সবমিলিয়ে লিগে মাশরাফি ছাড়া বোলারদেরও তেমন কোনো অবদান নেই। এটাও একটু হতাশ করছে তামিম ইকবালকে, ‘এই একটা জায়গায় আমাদের খুব দ্রুত উন্নতি করা দরকার। কারণ জাতীয় দলেও যদি দেখেন, আমি বিশ্বাস করি যে, বোলাররাই আমাদের ম্যাচ জেতায়; বড় বড় জয় যদি দেখেন, ভারত-সিরিজ (২০১৫), দক্ষিণ আফ্রিকা-সিরিজ (২০১৫) বা পাকিস্তান-সিরিজ (২০১৫)। হ্যাঁ, ব্যাটসম্যানরা পারফর্ম করেছে, সঙ্গে বোলাররাও বিশাল দায়িত্ব পালন করেছে দেখেই আমরা জিতেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং বিভাগ যদি সেরা পারফর্ম দেয়, তাহলে ম্যাচ জেতা সহজ হয়ে যায়।’

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :এপ্রিল ৪, ২০১৮ ১২:০৬ অপরাহ্ণ