স্পোর্টস ডেস্ক:
লিওনেল মেসিকে ঘিরে বিশ্বকাপ জয়ের ছক কষছেন হোর্হে সাম্পাওলি। তাই মূল মঞ্চে লড়াইয়ের আগে তাকে নিয়ে কোন ঝুঁকি নিতে চাইলেন না তিনি। সঙ্গত কারণে পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় দলের সেরা তারকাকে মাঠে নামালেন না আর্জেন্টাইন কোচ। তবু জয় পেতে কষ্ট হল না আলবিসেলেস্তেদের। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ইতালিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা।
গত শুক্রবার ইতিহাদে শুরু থেকেই ইতালিকে চাপে রাখে আর্জেন্টিনা। তবে প্রথমার্ধে সাফল্যের মুখ দেখেনি দলটি। কারণ একটাই, তাদের সামনের চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জিয়ানলুইজি বুফন। এ অর্ধে দুর্দান্ত খেলেছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। এ নিয়ে ফের প্রমাণ করলেন বর্তমান জমানায় মেসির পর তিনিই আর্জেন্টিনার সবচেয়ে সৃজনশীল ফুটবলার। আর্জেন্টিনার আক্রমণের তোপ সামলাতে এদিন সেই চিরচেনা ডিফেন্সিভ ফুটবলই খেলেছে ইতালি। নিজেদের অর্ধেই বল রাখার চেষ্টা করেছে তারা। মাঝে মধ্যে পাল্টা আক্রমণে গেছে। তবু গোল না খাওয়া থেকে রক্ষা পায়নি আজ্জুরিরা।
৬৪ মিনিটে ডি মারিয়া ও পারদেসকে তুলে নিয়ে ডিয়েগো পেরোত্তি ও এভার বানেগাকে নামান সাম্পাওলি। এতে আক্রমণে গতি আসে। ফলে এগিয়ে যেতেও সময় লাগেনি তাদের।৭৬ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন বানেগা। এগিয়ে গিয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী ফুটবল উপহার দেয় দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তাই ব্যবধান বাড়তেও বিলম্ব হয়নি। ৮৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ম্যানুয়েল লানসিনি।
শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের অসাধারণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। আগামী মঙ্গলবার আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ন স্পেনের মুখোমুখি হবে সাম্পাওলির দল। এবার বাজে পারফরম্যান্সের বলির পাঁঠা হয়ে বিশ্বকাপে নেই ইতালি। গেল ১৩ নভেম্বর ঘরের মাঠে বাছাইপর্বের প্লে-অফের ফিরতি লেগে সুইডেনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে স্বপ্নভঙ্গ হয় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। এর পর এ প্রথম মাঠে নামল তারা। তবে শোকটা কাটিয়ে উঠতে পারল না।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি