২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:২৬

শুকিয়ে গেছে তিস্তা, পানি কিনে চাষাবাদ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

তিস্তা ব্যারাজের ৭০ কিলোমিটার আগে ভারত গজল ডোবা বাঁধ দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে এক তরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করছে। এরপর যেটুকু পানি পাওয়া যায় তা তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প থেকে সেচের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে ভাটির দিকে পানি আসছে না বললেই চলে। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন ভাটির দিকের কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারি উপজেলার তিস্তা পাড়ের সাত ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের হাজর হাজার মানুষ। বদলে গেছে তাদের নদী নির্ভর জীবন-জীবিকা। কৃষি পরিবেশ ও জীব বৈচ্যিত্রে পড়েছে বিরূপ প্রভাব। হারিয়ে গেছে বিপুল পরিমাণ মৎস্য ভাণ্ডার ও জলজ প্রাণি ও উদ্ভিদ।

স্থানীয় এক কৃষক জানান, নদীতে নৌকা চালান বন্ধ, মাছ ধরা বন্ধ। তিস্তা নদীতে পানি নেই। এখন শ্যাল মেশিনের ওঠানো পানি কিনে চাষাবাদ করি। অন্য আরেকজন বলেন, আগে তিস্তায় নৌকা চালাই খাইতাম। এখন তো পানিই নেই। তিস্তার পানি ধারাবাহিকভাবে বঞ্চিত হতে থাকলে। এই এলাকা মরুকরণের কবলে পড়ার আশঙ্কা করছেন জেলা-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির এক কর্মকতা। তিনি বলেন, আগে নদীতে যে কিলোপ্রবাহটি দেখতাম। সেই কিলোপ্রবাহটি এখন আর নেই। এখন নদীটি মরে যাচ্ছে। তিস্তা নদী ও তিস্তা পাড়ের মানুষকে বাঁচাতে হলেই জরুরি এই নদী খননের দাবি জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

রাজাহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন বলেন, এই তিস্তা নদীকে বাঁচাতে দ্রুতই খনন করতে হবে। এটি তিস্তা পাড়ের মানুষের জোর দাবি। এদিকে তিস্তা রেলওয়ে সেতু থেকে শুরু করে চিলমারি পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার খননের জন্য দুইটি প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে বলে জানালেন স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্প দুইটি অনুমোদন হলে তখন এটা পুন:খনন হলে নদী তার স্বাভাবিক নাব্যতা ফিরে পাবে। এই এলাকায় ভাঙনও কমবে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত প্রকল্পে নদী খননসহ তীর সংক্ষণসহ বাঁধনির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬০ কোটি টাকা। এখন প্রয়োজন প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি 

প্রকাশ :মার্চ ১৭, ২০১৮ ১:১২ অপরাহ্ণ