২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১০:৪৬

দেশবাসীর দোয়া চাইলেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও আইনজীবী নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এই কথা। খোকন বলেন, ‘ম্যাডাম দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। উচ্চ আদালতে তিনি খালাস পাবেন বলেও আশা করছেন।’

বহুল আলোচিত এই মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে ঢাকার বিশেষ জজ-৫ আখতারুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়েন বিচারক। বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। ৪০৯ ও ১০৯ ধারা মোতাবেক আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেয়। রায়ে খালেদা জিয়া বিনাশ্রম ও অন্য পাঁচ আসামি সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করবেন বলে জানিয়েছে আদালত।

৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে খালেদা জিয়া একবারই কারাগারে যান। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি গ্রেপ্তার হন। তাকে সংসদ ভবন এলাকার স্থাপন করা বিশেষ কারাগারে রাখা হয়। পাশাপাশি আরেকটি ভবনে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশে মুক্ত হন খালেদা জিয়া।

১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি প্রাথমিক সদস্য হিসেবে বিএনপিতে যোগ দেন খালেদা জিয়া। এরপর তিনবার পুলিশ তাকে আটক করে। তবে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়নি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর আটক হন তিনি। এর মধ্যে প্রথম দুবার ঘটনাস্থল থেকে আটক করে তাকে বাসায় পৌঁছে দেয় পুলিশ। ১৯৮৭ সালে হোটেল পূর্বাণীতে এক অনুষ্ঠান থেকে আটক করে আরও কয়েকজন নেতার সঙ্গে তাঁকে কিছু সময় মতিঝিল থানায় নেওয়া হয়। অবশ্য পুলিশ সে সময় তাকে গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়ে কোনো কিছু বলেনি। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় অঘোষিতভাবে তাকে গৃহবন্দী থাকতে হয়েছে। তবে এটা আইনানুগ নয়।

বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সময় ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর গুলশানের বাসায় অবরুদ্ধ করা হয় তাঁকে। আর ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি তাঁর গুলশানের কার্যালয়ের দুই পাশে বালুর ট্রাক রেখে অবরুদ্ধ করা হয়। ৯৩ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আদালতে হাজিরা দিয়ে বাসায় ফেরেন তিনি।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮ ৩:৫৮ অপরাহ্ণ