নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাইকো দুর্নীতি মামলায় আমাকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনীত অভিযোগ মিথ্যা এবং আমি মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার হকদার। রোববার নাইকে দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানিতে আদালতে কথাগুলো বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মামলার অন্যতম আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহমুদুল কবীরের আদালতে মামলাটির বিচার কার্য চলছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ জন এ মামলার আসামি। এদিন বিচারক আংশিক শুনানি শেষে আগামী ১১ মার্চ পরবর্তী চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ নিজেই তার চার্জ শুনানি করেন। তিনি চার্জ শুনানিতে বলেন, এই মামলাটিতে তাকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের অভিযোগ মিথ্যা এবং তিনি মামলা থেকে অব্যহতি পাওয়ার হকদার।
খালেদা জিয়া পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সময়ের আবেদন করেন। আবেদনে বলেন, খালেদা জিয়া এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে আদালতে হাজির হতে পারেননি। বিচারক তার পক্ষে সময় মঞ্জুর করেন। গত বছরের ২০ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।
অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া।
এসব রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গত বছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি নিম্ন আদালতে সচলে রায় দেন হাইকোর্টেরর আপিল বিভাগ।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ