স্পোর্টস ডেস্ক:
ঘরের মাঠে আরও একটি ফাইনাল। প্রতিপক্ষ সেই শ্রীলংকা।২০০৯ সালে যাদের বিপক্ষে প্রথমবার কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলে শিরোপার ছুঁইছুঁই করেওহার মেনেছিল বাংলাদেশ।এবার আর স্বপ্নভঙ্গের গল্প লিখতে চায় না টাইগাররা। রচনা করতে চায় নতুন ইতিহাস। এ প্রত্যয়েবেলা ১২টায় লংকানদের বিপক্ষে মাঠে নামছে মাশরাফি বাহিনী। গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ। নিজেদের ৪ ম্যাচের ৩টিতেই জিতেছে। সব আগে ফাইনালও নিশ্চিত করেছে। তবে ফাইনালের আগে বড় ধাক্কা খেয়েছে ম্যাশ বাহিনী। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে স্রেফ উড়ে গেছে তারা।মাত্র ৮২ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা পেয়েছে। পেয়েছে ১০ উইকেটে হারের লজ্জাও।এ পরিপ্রেক্ষিতে আশাহত অনেকেই।
তবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এটাকে শাপে বর হিসেবেই দেখছেন। তার মতে, ফাইনালের আগে এটি ওয়েক আপ কল বা সতর্কবার্তা। একে মাথায় নিয়ে খেললে এবার শিরোপা আসতেই পারে! গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিতে চাঙ্গা শ্রীলংকা। জয়ের ধারা ধরে রেখে শিরোপা জিততে চায় তারা। এ মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর লংকানরা। অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল ফাইনালেও খেলোয়াড়দের কাছে সেরাটা চান।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ দলে আসতে পারে তিনটি পরিবর্তন। অফ ফর্মে থাকা এনামুল হক বিজয় ও নাসির হোসেন বাদ পড়তে পারেন! তাদের জায়গায় ঢুকতে পারেন ইমরুল কায়েস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। পরিবর্তন আসতে পারে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের জায়গাতেও। শ্রীলংকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে আশাব্যঞ্জক পারফরমকরতে পারেননি আবুল হাসান রাজু। তার জায়গায় ফিরতে পারেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বাংলাদেশ দলে এ ক’টি পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা থাকলেও পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই শ্রীলংকা দলে। উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই মাঠে নামতে চায় চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি