নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের প্রধান কার্যালয় প্যাসিফিক সেন্টার নামক ভবনটির ষষ্ঠ থেকে ত্রয়োদশ তলা পর্যন্ত আটটি ফ্লোর নিলামে তুলেছে ন্যাশনাল ব্যাংক। ব্যাংকটির ৪৫০ কোটি টাকার বকেয়া ঋণ আদায়ে নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
আগামী ১৮ জুন এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয় যে ভবনে অবস্থিত, সেটির নাম প্যাসিফিক সেন্টার। প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান।
সিটিসেল সূত্রে জানা গেছে, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে দুই দফায় মোট ৬০০ কোটি টাকা ঋণ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ নেওয়া ঋণের টাকা দিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ২৫০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করে সিটিসেল। ঋণের জামানত হিসেবে প্রধান কার্যালয় বন্ধক রাখা হয়।
প্রথম দফায় নেওয়া ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ সুদে-আসলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫৪ কোটি টাকা। বকেয়া এই অর্থ আদায়ে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে ত্রয়োদশ তলা পর্যন্ত আটটি ফ্লোর নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন ৪ হাজার ৮৫০ বর্গফুট।
ন্যাশনাল ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল জানান, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী অর্থ আদায়ে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এ ক্ষেত্রে তা-ই করা হয়েছে।
বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় গত বছরের ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিল করে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। সিটিসেলের কাছে সংস্থার বকেয়া ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। তবে বিটিআরসির হিসাবকে চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের অক্টোবরে আদালতে মামলা করে সিটিসেল। আপিল বিভাগের নির্দেশে গত ৬ নভেম্বর সিটিসেলের কার্যক্রম আবার চালু হয়।
বকেয়া নিয়ে বিটিআরসি ও সিটিসেলের দ্বন্দ্ব দূর করতে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি করার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী জানান, খুব শিগগির এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এমএইচ