২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:০৫

নেপালে বন্যপ্রাণী-দেহাংশ ধ্বংস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নেপালের কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী শিকার এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বন্ধ করার প্রচেষ্টা হিসেবে ৪,০০০ থেকেও বেশি প্রাণীর দেহাংশ ধ্বংস করেছে। কাঠমুন্ডুর দক্ষিণে চিতওয়ান এলাকায় সোমবারে গন্ডারের শিং, বাঘ ও চিতাবাঘের চামড়া পুড়িয়ে ফেলা হয় যেখানে একটি তুষার চিতাবাঘ ও দুটো ধূষর চিতাবাঘের চামড়াও ছিল। এর আগে ২০ বছর পূর্বে নেপালে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছিল।

আন্তর্জাতিক জীব বৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে বিপন্ন বন্য প্রাণীর আবাসস্থল চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রকাশ শরণ মাহাত বিপুল পরিমান এসব প্রাণীদেহাংশে আগুন ধরিয়ে দেন। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি এসব বন্য পশুপাখির দেহাংশ ধ্বংস করা হয়েছে এই বার্তা দেয়ার জন্য যে, জীবিত অবস্থায়ই বন্য প্রাণীদের দেহাংশ মূল্যবান, মৃত অবস্থায় সেটা মূল্যহীন।”বন ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মহেশ্বর ধাকাল বিবিসি নেপালীকে বলেন, “এটি জীবজন্তুর দেহাংশের অবৈধ বাণিজ্যকে নিরুৎসাহিত করবে।”“যেগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তা সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে বিপুল পরিমান অর্থ খরচে কোন যুক্তি নেই”, ধাকাল বলেন। নেপালে গত ২০ বছরে বাঘ ও এক শিংযুক্ত গণ্ডারের সংখ্যা বেড়েছে এবং চিতওয়ানেই তাদের বেশির ভাগের অবস্থান।সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দুই দশক আগে ৯১ টি বাঘ ও ৩৭২ টি গণ্ডারের তুলনায় নেপালে এখন ১৯৮টি বাঘ ও ৬৪৫টি গণ্ডার রয়েছে।  অবৈধভাবে প্রাণী শিকারে কঠোর নিষেধাজ্ঞামূলক কার্যক্রম, তৃণভূমি ব্যবস্থাপনা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিই এ সাফল্যের পেছনের কারণ বলে বিশ্বাস করেন কর্মকর্তারা।  তবে ১,১০০ কেজি হাতির দাঁত না পুড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তারা।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :মে ২৩, ২০১৭ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ