২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:২৬

ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার প্রতিরোধে জলপাই পাতা

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

জলপাই গাছ এক ধরণের চিরহরিৎ ফল। ভুমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, এশিয়া, বাংলাদেশ ও আফ্রিকার কিছু অংশে এটা ভাল জন্মে। জলপাই গাছ ৮-১৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। এর পাতা ৪-১০ সে.মি. লম্বা ও ১-৩ সে.মি. প্রশস্ত হয়ে থাকে। জলপাই ফল বেশ ছোট আকারের, লম্বায় মাত্র ১-২.৫ সে.মি. লম্বা হয়ে থাকে। যুদ্ধে শান্তির প্রতীক হল জলপাইয়ের পাতা এবং মানুষের শরীরের শান্তির দূত হল জলপাইয়ের তেল যা অলিভ ওয়েল (Olive Oil) আরবিতে জয়তুন (زيت الزيتون)। যেটাকে Liquid Gold বা তরল সোনা নামেও ডাকা হয়।

জলপাইয়ের তেলের গুণের কথা তো আমরা কমবেশি সবাই জানি। তবে জলপাই পাতারও গুণ আছে তা হয়তো অনেকেই জানেন না। বিভিন্ন রোগ নিরাময় থেকে শুরু করে নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। নিচে জলপাই পাতার উপকারি দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো :

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : জলপাইয়ের পাতায় রয়েছে অলিওরোপিয়েন নামে একটি উপাদান যেটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া এটি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন কমায়। হার্টে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও কাজ করে এটি।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ : গবেষণায় দেখা গেছে, জলপাইয়ের পাতা রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষ করে এটি ‘টাইপ টু’ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে : জলপাইয়ের পাতার নির্যাস স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি ক্যান্সার সহায়ক কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এছাড়া এটি টিউমারের বৃদ্ধিও ঠেকায়।

হাড়ের গঠন : স্প্যানিশ একটি গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, অলিওরোপিয়েন হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া প্রতিরোধ করে। হাড় ক্ষয় রোগের সঙ্গে লড়াই করে। এ ছাড়া জলপাই পাতা হাড় তৈরিকারী কোষকে তৈরি হতে উদ্দীপ্ত করে। একে মোটামুটি নিরাপদ খাবারই বলা যায়। জলপাইয়ের পাতার নির্যাস তরল আকারে বা শুকিয়ে গুঁড়ো করে খেতে পারেন। জলপাইয়ের পাতা দিয়ে চাও তৈরি করা যায়।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ১৮, ২০১৮ ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ