২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:২০
Thirsty boy drinking fresh water outdoors wearing sport clothes

গরমে ভালো থাকতে কী খাবেন, কী খাবেন না

অনলাইন ডেস্ক :

এই গরমেই আমাদের দৈনন্দিন কাজ করতে হচ্ছে। তাই চেষ্টা করতে হবে নিজেকে ভালো রাখার। আসুন জেনে নিই এই গরমে কী খাবেন আর কী খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।

প্রচুর পানি খান:
গরমকালে সুস্থ্য থাকার অপরিহার্য উপায় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। সারা দিনই পানি পান করতে হবে। গরমে প্রচুর ঘাম হয়, কিছুক্ষণ কাজ করলেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে শরীর যেন কোনভাবেই পানিশূন্য না হয়ে পড়ে।
গরমে ভালো থাকতে কী খাবেন, কী খাবেন না।

গরমে ফল খান:
গ্রীষ্মকালে ফলের প্রাচুর্য থাকে। পাওয়া যায় প্রচুর পাকা ফল। শরীর ভালো রাখতে হলে বেশি করে মৌসুমী ফলমূল খেতে পারেন। বিশেষ করে তরমুজ তো গরমকালের খাবার হিসেবে অসাধারণ। একটি দারুণ তথ্যও জেনে নিন, যদি সারাদিন আর কিছু না খেয়ে কেবল তরমুজ খেয়েই কাটান তাহলে ওজন এক দিনেই কমে যাবে অনেকটা!

কোমল পানীয় বর্জন করুন:
আমরা গরমকালে সবচেয়ে বড় যে ভুলটা করি তা হলো বেশি বেশি কোমল পানীয় খাওয়া। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এগুলো আসলে পেটকে ঠাণ্ডা করার পরিবর্তে শরীর গরম করে দেয়। এর ফলে এগুলো খেয়ে গরম থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। কোমল পানীয় সাময়িক তৃপ্তি দিলেও তা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করুন কোমল পানীয়র বদলে কেবল পানি পান করার। এছাড়াও লেবুর শরবত ও অন্যান্য টাটকা ফলের ঘরে তৈরি শরবত খেতে পারেন।

দুগ্ধজাতীয় খাবার কম খান:
গরমকালে ভালো থাকতে হলে প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। যেমন দুধ, পনির, দই ইত্যাদি। কারণ এসব খাবার শরীরে তাপ উৎপাদক। তাই গরমের সময় এই জাতীয় খাবার যত কম খাবেন তত ভালো।
গরমে ভালো থাকতে কী খাবেন, কী খাবেন না

সালাদ খান:
যারা দুপুরে ভারী খাবার গ্রহণ করেন, তাদের জন্য ভাত, প্রচুর শাকসবজি, ছোট-বড় মাছের হালকা রান্না, ডালসহ গোশত, ডিম অভ্যাস মতো পরিমাণে খেতে পারেন। যা-ই খান না কেন সালাদ কিন্তু খেতেই হবে। শুধু দুপুরের খাবারে নয়, রাতের খাবারের সাথেও সালাদ খেতে পারেন কিংবা শুধু সালাদও খেতে পারেন।

আমিষ কম খেলে ভালো:
মাংস, তা সে যতই স্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা হোক না কেন; গরমকালের জন্য সঠিক খাবার নয়। বিশেষ করে তন্দুরি, মশলাদার মাংস তো এ সময়ে স্বাস্থ্যকর নয়ই। এমনকি মাছ, তা সে পুষ্টিতে ভরপুর সামুদ্রিক মাছ হলেও যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। কারণ আমিষ জাতীয় এই খাবার দেহকে উত্তপ্ত করে, ফলে ঘাম বেশি হয় এবং খাবার হজমে সমস্যা হয়।

খেতে হবে শাক-সবজি:
গরমকালে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খেতে হবে। এখন লাউ পাওয়া যায়। শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে, সবজি হিসেবে লাউ বা এ জাতীয় শাক-সবজি খেতে পারেন। তবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অল্প পরিমাণ আমিষের উপস্থিতিও নিশ্চিত করুন। নাহলে আপনি কজে-কর্মে শক্তি পাবেন না।

দৈনিক দেশজনতা/এন আর

প্রকাশ :মে ২১, ২০১৭ ৮:৩৫ অপরাহ্ণ