২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:২২

বেড়েছে কৃষকের ব্যস্ততা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা নিয়েই মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। ফলে কৃষকেরা কিছুটা হলেও স্বস্তি নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছেন। সেই সঙ্গে বেড়েছে কর্মহীন কৃষকের ব্যস্ততাও। তবে এখনো তাদের দুশ্চিন্তা কাটেনি। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল আর ধানের ফলন কেমন হবে তা নিয়ে তারা ভাবছেন।

সরেজমিন উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের অধিকাংশ মাঠে কৃষকেরা আগাম জাতের ধান কাটতে শুরু করেছেন। আর সেই ধান বাড়িতে এনে মাড়াই করছেন। আবার কোনো মাঠে সোনালি রঙ ধরে পেকে উঠছে আমনের ক্ষেত। আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে সব জাতের ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা।

গত অক্টোবর মাসে কয়েক দফায় বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে আমনের ক্ষেতের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে নিন্মাঞ্চলের ধান পানিতে ও ঝড়ে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠের আমন ধান নেতিয়ে পড়ে।

উপজেলার সিন্দুরখান, ভুনবীর ইউনিয়ন, সদর ইউনিয়ন, কালাপুর ও আশিদ্রোন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের দৃশ্য চোখে পড়েছে। এতে করে কৃষকের মনে স্বস্তিও ফিরেছে। কর্মহীন কৃষি শ্রমিকেরা কাজ পেয়েছেন।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৃষক মো. শের জাহান সেজু আলাপকালে জানান, এ বছর আমি আমার প্রায় ১০ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। এবারে বৃষ্টিতে প্রায় অর্ধেক ফসল নষ্ট হয়েছে। কিছু অংশ ধান কাটা হয়েছে। মোটামুটি ফসল ভাল হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার আশানুরূপ ফসল পাবো না।

এছাড়াও কথা হয় বিভিন্ন গ্রামের কৃষকের সাথে। তারা জানান, পাকা আমন ধান কারেন্ট পোকা পাতাপোড়া রোগ আর গত অক্টোবর মাসে ঝড় ও বৃষ্টিতে জমির কাঁচাপাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়ে। ফলে আমন ধানের ফলন নিয়ে সংশয়ে আছি। ফলন নিয়ে এবার বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি জানান, চলতি বছরে উপজেলায় সরকারীভাবে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর কিন্তু সবমিলিয়ে ১৫ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমনের চাষাবাদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আগাম আমন কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। পুরোপুরি ধান কাটা এখনও শুরু হয়নি। সপ্তাহ খানিক পরে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। তবে তিনি এখন পর্যন্ত আশা করছেন এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হবে।

তিনি বলেন, বিগত বন্যায় ৯ হাজার হেক্টর ফসলী জমি ক্ষতির মুখে পড়লেও কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকরা তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। আবাদী এসব জমি থেকে ৩৮ হাজার মে.টন আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ২১, ২০১৭ ১২:০৫ অপরাহ্ণ