২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:৪৫

মোবাইলে প্রেম, দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
মোবাইল প্রেমে সাড়া দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানায় গতকাল রবিবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত দেবাশীষ বাড়ৈকে (৩২) গ্রেফতার করেছে। গত শনিবার রাতে কোটালীপাড়া উপজেলার লাটেঙ্গা গ্রামের মনির পাগলের আশ্রমে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, কোটালীপাড়া উপজেলার কোনের ভিটা গ্রামের দ্বীপ চাঁন বাড়ৈর ছেলে ১ সন্তানের জনক দেবাশীষ বাড়ৈর সাথে মোবাইলে প্রায় ১ মাস আগে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। এরপর দফায় দফায় ফোনালাপের মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শনিববার সকাল ১০ টায় ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে মোবাইলে প্রেমিকের আহবানে সাড়া দিয়ে ওই ছাত্রী খুলনা থেকে গোপালগঞ্জ শহরে আসে। প্রেমিক দোবাশীষ বাড়ৈর সাথে তার গোপালগঞ্জ শহরে দেখা হয়। তারপর তারা দু’ জনে এক সাথে কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে যায়। সেখান ঘুরা ফেরার পর  তারা সন্ধ্যায় লাটেঙ্গা গ্রামে পৌঁছায়। রাতে লাটেঙ্গা গ্রামের মনির পাগলের আশ্রমে নিয়ে দেবাশীষ ও তার সহযোগিরা ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনা স্থলে পৌঁছে দেবাশীষকে আটক করে। এ সময় স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনাস্থল  থেকে দেবাশীষকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তবে এ সময় তার দুই সহযোগী কৌশলে পালিয়ে যায়। কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত দেবাশীষকে গ্রেফতারের পর অন্য আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেবাশীষ ওই ছাত্রীকে পর্যায়ক্রমে ২ জন মিলে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। মেডিকেল করার জন্য ওই ছাত্রীকে সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি 
প্রকাশ :নভেম্বর ২০, ২০১৭ ১:২০ অপরাহ্ণ