স্বাস্থ্য ডেস্ক:
কথায় আছে, আদাজল খেয়ে কাজে নেমে পড়, সফলতা আসবেই। এমন পরামর্শ আপনিও নিশ্চয়ই অনেকবার পেয়েছেন বা দিয়েছেনও৷ এর কোনো একটা কারণ তো অবশ্যই আছে। কখনও ভেবে দেখেছেন- সেটা কী? আসুন জেনে নিই আদাপানির আসল মাহাত্ম্য-
১. শীতের শুরুতে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা সব থেকে বেশি থাকে৷ এ সময় সর্দি-কাশি সারাতে আদাপানি হতে পারে দারুণ দাওয়াই৷
২. আদাপানি পেটের পক্ষেও বেশ উপকারী৷ নিয়মিত সেবনে গ্যাসের সমস্যা কমে৷ বমি কিংবা বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি মেলে৷
৩. ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই দিনে পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করা হয়ে ওঠে না৷ শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে নানা জটিলতায় পরতে পারেন৷ আদাপানি দেহে পানির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে৷
৪. অনেকেরই খাওয়া-দাওয়াও সময়ের কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। ফলে তারা পেটের জ্বালা সমস্যায় ভোগেন৷ এই রোগের অব্যর্থ দাওয়া হলো আদাপানি৷
৫. সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, আদা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়৷ যাদের ডাইবেটিসের সমস্যা আছে, তারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদাপানি পানের অভ্যাস করতে পারেন৷
৬. রান্না করার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুণ বেশি৷ আদাপানির মাধ্যমে বহু রোগের জীবাণু ধ্বংস হয়৷ ক্যানসারের মতো মারণ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও আদার জুড়ি নেই৷
৭. শরীর ফিট ও নির্মেদ রাখার বিষয়ে যারা সচেতন, তাদের জন্যও আদাপানি উপকারী৷ এ পানীয় নিয়মিত পান করলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কেটে যাবে৷
৮. মাইগ্রেনের সমস্যার ক্ষেত্রেও আদাপানির কার্যকারিতা রয়েছে৷ এছাড়া আদা শরীরের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে৷
৯. অস্ট্রেলিয়ায় এক গবেষণায় দেখা গেছে, আদা শরীরের রক্তজমাট দূর করতে সাহায্য করে। রক্তের জীবাণু দূর করতেও এটি ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
কীভাবে খাবেন?
আদার টুকরো পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধূয়ে নিন। এবার কেটে ছোট ছোট টুকরা তৈরি করুন এবং বিশুদ্ধ এক গ্রাস পানিতে আদার কয়েকটি টুকরা ভিজিয়ে রাখুন। অন্তত ৩ ঘণ্টা পর টুকরোগুলো ফেলে দিয়ে পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। তবে খুব সকালে একেবারে খালি পেটে পান না করাটা ভালো।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ