আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বের ৪০ কোটির বেশি লোক আধুনিক দাসত্বের শিকার। যার এক চতুর্থাংশই শিশু। মঙ্গলবার ২০১৬ সালে পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) অংশীদারিত্বে যৌথভাবে এ গবেষণা পরিচালনা করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ওয়াল্ক ফ্রি ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী ৪ কোটি ৩০ লাখ লোক বিভিন্নভাবে দাসত্বের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় এক কোটিই শিশু। গেল বছর দুই কোটি ৪৯ লাখ লোককে জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা হয়েছে এবং এক কোটি ৫৪ লাখ লোক জোরপূর্বক বিয়ের শিকার হয়েছে। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়াল্ক ফ্রি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফিয়োনা ডেভিড বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী ৪ কোটির বেশি লোকের আধুনিক দাসত্বের অন্তর্ভুক্ত হওয়া ছোট-খাট ব্যাপার নয়, বরং এটি অগ্রহণযোগ্য।’ তিনি বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, দুই কোটি ৪৯ লাখ লোক হুমকি, বলপ্রয়োগের কারণে ফার্ম, ফিশারিজ, নির্মাণ কিংবা যৌনশিল্পে কাজ করছে। অথচ গত বছর জাতিসংঘ বলেছে, ৬৩ হাজার লোক দাসত্বের শিকার। এর অর্থ, বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব যে তেমন ভাবছে না তা স্পষ্ট।’
গবেষণা বলছে, জোরপূর্বক যাদের কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের তারা যেমন সহিংসতা ও হুমকির শিকার হচ্ছেন তেমনি তাদের একটি বড় অংশ ঋণ দাসত্বের শিকার এবং মজুরি না দিয়ে ঠকানো হচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্বের নারীদের একটি বড় অংশ জোরপূর্বক কিংবা হুমকির কারণে যৌন পেশায় লিপ্ত হতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার যাদের দিয়ে গৃহকর্মীর কাজ করানো হচ্ছে, তাদের ওপর যৌন নির্যাতনও চলছে। গবেষণায় নারীদের এইসব অবস্থাকে আধুনিক দাসত্বের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গবেষকরা বলেছেন, দাসত্বের ঝুঁকিতে বেশি রয়েছে এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিক, আফ্রিকা, যেসব অঞ্চলে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে সেসব অঞ্চল এবং পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের শরণার্থী শিবির। এ ছাড়া আরব ও গাল্ফ-আরব এবং আমেরিকাতেও এ সংকট রয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /আই সি