নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বন্যায় ৫ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ২০ জেলার ৩৫৬ উপজেলা। চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোণা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিসহ ২০ জেলার ৩৫৬টি উপজেলার ৩৫৮টি ইউনিয়ন বন্যা প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮৬ জন লোক আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ৮৬ হাজার।’
তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এবং মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চলমান অর্থবছরে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বন্যা প্লাবিত এবং বন্যা হতে পারে এমন ৩৩টি জেলায় ১০ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন চাল, ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় আমরা ঘরে বসে নেই। জেলা প্রশাসকদের বলেছি তাদের চাহিদামত প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হবে। একটি লোকও যাতে খাবারের কারণে কষ্ট না পায় সেজন্য জেলা প্রশাসকদের সার্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রমের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। আমাদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন।’
উজানের দেশ চীন, ভারত, নেপাল ও ভূটানে এ বছর স্মরণকালের মারাত্নক বন্যা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উজানের দেশে বন্যা হলে ভাটির দেশ হিসেবে উজানের প্রভাব আমাদের উপর পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। এর আলোকে আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি এবং মানুষের জন্য সহনশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত বন্যা মোকাবেলায় মাঠ পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তার আন্তরিকতার অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। এ ধরণের মানসিকতা পরিহারের জন্য তাদের অনুরোধ করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের ত্রাণ সমগ্রীর অভাব নেই। বন্যা পরিস্থিতি প্রলম্বিত হলেও ত্রাণ সমগ্রীর অভাব হবে না ইনশাআল্লাহ।’
দৈনিক দেশজনতা/এন আর