নিজস্ব প্রতিবেদক:
লেনদেনের মন্থরতায় সম্প্রতি দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছিল। কিন্তু সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ডিএসই’র লেনদেনের উল্লম্ফনে সূচক ৫৮৬০ পয়েন্ট অতিক্রম করে। যা সূচকটির যাত্রা শুরুর পর সর্বোচ্চ। এদিকে, এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও লেনদেন ছিল ইতিবাচক অবস্থানে। ডিএসই ও সিএসই’র বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩২টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৯টির, দর কমেছে ১১৪টির ও ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের দর ছিল অপরিবর্তিত। এ সময় ডিএসইতে ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ ৭৫ হাজার ১০৫টি শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজার দর ছিল ১ হাজার ১৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮৬১ পয়েন্টে। যাতে সূচকটি যাত্রার সাড়ে ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। এ সূচকটির যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি। এসময় শরীয়াহ্ ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্য সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪.৩৯ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক বেড়েছে ১৬.৬৯ পয়েন্ট। দিনশেষে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে প্রকৌশল খাতের নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিবিএস ক্যাবলসের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৭৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি ব্যাংকের ৬৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৬২ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। এছাড়াও লেনদেন তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ওয়ান ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ফু-ওয়াং ফুড, ফরচুন সুজ, ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক। দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া ২৫৮টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৫টির, দর কমেছে ৮২টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ৩১টি প্রতিষ্ঠানের। এ সময় সিএসইতে ৯০ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
দিনশেষে সিএসইতে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে ছিল আরএকে সিরামিক। এ সময় কোম্পানিটির ২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- বিবিএস ক্যাবলস, ফু-ওয়াং ফুড, আইডিএলসি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, রূপালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, বিবিএস, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ