২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:৩১

আজ বিশ্ব বাবা দিবস

দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক:

প্রতি বছরের মতো এবছরও পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাবা দিবস । প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রবিবার পালিত হয় ‘বাবা দিবস’। এবছর তাই ১৮ জুন দিবসটি পালিত হচ্ছে।


বিশ্বের প্রায় ৫২ দেশে এ দিবসটি পালিত হয়। পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে।

‘বাবা দিবস’ পালন শুরু হয় গত শতাব্দীর প্রথমদিকে। পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু। ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই প্রথম ‘বাবা দিবস’ পালিত হয়। আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় প্রথম এই দিনটি পালিত হয়।

১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৯৬ সালে বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার ‘বাবা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাবাকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হলেও ভালোবাসার আবেদনে কিন্তু একটুও ভিন্নতা দেখা যায় না।

সবচাইতে বেশী প্রতিশব্দ ইংরেজি ভাষাতেই! ইংরেজরা বাবাকে ফাদার, ড্যাড, ড্যাডি, পাপা বলে ডাকেন।

জার্মান ভাষায় বাবা শব্দটি হচ্ছে ‘ফ্যাট্যা’ আর ড্যানিশ ভাষায় ‘ফার’।

আফ্রিকান ভাষায় ‘ভাদের’ হচ্ছেন বাবা। ব্রাজিলিয়ান পর্তুগিজ ভাষায় বাবা ডাক হচ্ছে ‘পাই’।

চীনারা আবার বাঙালির ‘বাবা’ কে কেটে ছোটো করে ‘বা’ বানিয়ে নিয়েছেন।

কানাডিয়ান ভাষায় বাবা হচ্ছেন ‘পাপা’ তেমনি ক্রোয়েশিয়ান এ ‘ওটেক’।

ডাচ ভাষায় পাপা, ভাডের আর পাপাই এই তিনটি হচ্ছে বাবা ডাক।

আবার ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় বাপা কিংবা আইয়্যাহ! জাপানিরা তাদের ভাষায় বাবাকে ডাকেন- ওতোসান, পাপা। পুর্ব আফ্রিকায় অবশ্য বাবাকে ‘বাবা’ বলেই ডাকে।হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় পাপা ছাড়াও বাবা শব্দের অনেকগুলো প্রতিশব্দ আছে, যেমন- আপা, আপু, এদেসাপা।

ফিলিপিনো ভাষাও কম যায় না, এই ভাষায় বাবা হচ্ছেন তাতেই, ইতেই, তেয় আর আমা। হিব্রু ভাষায় বাবা হচ্ছে ’আব্বাহ্‌’। হিন্দি ভাষার বাবা ডাকটি হলো পিতাজী!

কাটে না সময় যখন আর কিছুতে/বন্ধুর টেলিফোনে মন বসে না/জানালার গ্রিলটাতে ঠেকাই মাথা/মনে হয় বাবার মত কেউ বলে না/আয় খুকু আয়, আয় খুকু আয় …।

গীতিকার পুলক বন্দোপাধ্যায়ের লেখা এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও শ্রাবন্তী মজুমদারের গাওয়া এই গান সন্তানদের এক অসীম আবেগে জড়িয়ে দেয়।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ঘরে ঘরে নানা আয়োজনে পালন হবে বাবা দিবস। বাঙালি সন্তানদের হৃদয়ে দিবসটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। হাজার কষ্ট সয়ে তিলে তিলে যে সন্তানকে বড় করেছেন একজন বাবা, তাকে ঘিরেই এদিন হবে ব্যতিক্রমী উৎসব।

দৈনিক দেশজনতা /এমএম

প্রকাশ :জুন ১৮, ২০১৭ ৩:৫৫ অপরাহ্ণ