ঢাকা, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থিম্পু সফরকালে বাংলাদেশ ও ভূটানের মধ্যে ৬টি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী অটিজম বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে আগামীকাল মঙ্গলবার ভূটানের রাজধানী থিম্পুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের প্রাক্কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী আজ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল থিম্পু পৌঁছানোর পরই সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে ছয়টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
চুক্তিগুলো হলো দ্বৈত কর পরিহার, অভ্যন্তরীণ নৌ-রুট ব্যবহার, যোগাযোগ ও বাণিজ্য, পণ্য ও কৃষিজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা থিম্পুতে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এ সময় ভূটানের রাজা জিগমে খেসার ন্যামগেল ওয়াংচুক উপস্থিত থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী থিম্পু সফরকালে ভূটানের রাজকীয় প্রথা অনুযায়ী নির্ধারিত আনুষ্ঠানিকতায় অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া তিনি ভূাটানের রাজা ও রাণীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জল বিদ্যুৎ সম্পর্কিত সহযোগিতা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর থিম্পু সফরকালে ভূটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি আলোচনার জন্য নির্ধারিত আছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রাক জরিপ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ভূটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে একশত কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বলেন, শেখ হাসিনা অটিজম বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেবেন। আগামী ১৯ এপ্রিল থিম্পুতে রাজকীয় অতিথিশালায় এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হবে।
বাংলাদেশ ও ভূটানের যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সূচনা ফাউন্ডেশন, এবিলিটি ভূটান সোসাইটি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয় এ সম্মেলনে কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে।
সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, “অটিজম ও অন্যান্য ডিসঅর্ডারদের সঙ্গে ব্যক্তি, পরিবার ও সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য উন্নয়ন কার্যকারিতা ও টেকসই বহুমুখী সেকটোরিয়াল কর্মসূচী”।
উক্ত সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক এমপিসহ বিশ্বের ৩১টি দেশের উচ্চ পর্যায়ের নীতি-নির্ধারকবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, এনজিও ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, ইউএনওমেন, আইওএম, ইউনেস্কোসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের আঞ্চলিক প্রধান ও প্রতিনিধিগনসহ প্রায় আড়াই শতাধিক প্রতিনিধি যোগ দেবেন। শেখ হাসিনা বিকেলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের অংশ হিসাবে অটিজম ও ডিসঅর্ডার বিষয়ক উচ্চ পযার্য়ের এক বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক এমপি, সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন এবং সরকারের উচ্চ পযার্য়ের কর্মকর্তাগণ।
প্রধানমন্ত্রী ২০ এপ্রিল দেশে ফিরবেন।