রয়টার্স জানিয়েছে, সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে সব নাগরিকের ব্যক্তিগতভাবে অন্তরীণ থাকা (আইসোলেটেড), স্কুল ও অফিসসহ সব প্রতিষ্ঠান এবং জরুরি নয় এমন সব সেবা ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার।
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডের আধুনিক ইতিহাসে এই নিষেধাজ্ঞা হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তবে জীবন রক্ষা ও ভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস করতে এটি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা এখন স্বেচ্ছাঅন্তরীণের (আইসোলেশন) জন্য প্রস্তুত।’ এই পদক্ষেপ না নিলে দেশের লাখ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন আরডার্ন।
শুক্রবার পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬। এরপর থেকে এই সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ১০২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এখনও কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। গত সপ্তাহেই পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল নিউজিল্যান্ড।
আরডার্ন জানান, সব বার, রেঁস্তোরা, জিমনেশিয়াম, সিনেমা, সুইমিং পুল, জাদুঘর, খেলার মাঠ ও যেখানে মানুষের মুখোমুখি দেখা হয় এমন সব স্থান ৪৮ ঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে। তবে সুপারমার্কেট, ফার্মেসি, হাসপাতাল, জরুরি সেবা ও প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সেবা চালু থাকবে।