ঢাকা ১০-আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার প্রথম তিন ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র দেড় শতাংশ। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা অলস সময় পার করছেন। অপেক্ষায় আছেন ভোটারদের।
শনিবার ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে ১৫টির মতো কেন্দ্র ঘুরে ভোটের এমন চিত্র পাওয়া গেছে। করোনার প্রকোপের মধ্যেও এই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইভিএমে।
এসব কেন্দ্রে দেখা গেছে, কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় ভোট কেন্দ্রগুলোর আশপাশে অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা ভোটার স্লিপ বিতরণের কেন্দ্রগুলোও ছিল ফাঁকা। এসব কেন্দ্রের আশপাশে কেবল প্রার্থীর নেতাকর্মী ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি। তবে এদের বেশিরভাগই সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোট কেন্দ্রে ভোটের সকল প্রস্তুতি শতভাগ থাকলেও নেই ভোটার। দায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের থেকে পাওয়া তথ্যমতে, হাতেগোনা কিছু কেন্দ্রে দুই থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়লেও বেশিরভাগ কেন্দ্র রয়েছে ভোটার সংকটে। বেশ কিছু কেন্দ্রে এক শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে। কেন্দ্রগুলোতে গড়ে ভোট পড়েছে দেড় শতাংশেরও কম।
ধানমন্ডি সিটি কলেজে মোট চারটি কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ৩২ নম্বর কেন্দ্রে। বেলা সোয়া বারোটা পর্যন্ত ১০৯ জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেছেন বলে ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সৌমিত্র সর্দার। এ কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা চার হাজার ২২ জন।
সিটি কলেজের ৩৩ নম্বর কেন্দ্রের মোট ভোটার তিন হাজার ৪২২ জন। বেলা পৌনে বারোটা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২২টি।
৩৪ নম্বর কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৫৫৮টি। বেলা ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩৮টি। ৩৫ নম্বর কেন্দ্রের মোট ভোটার তিন হাজার ৩০ জন। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানান, বেলা ১২টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে মাত্র ৮ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন।
ধানমন্ডি ড. মালেকা কলেজ কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। এখানকার তিনটি কেন্দ্রে ভোট পড়ার হার এক থেকে দেড় শতাংশ। এর মধ্যে বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ৩৬ নম্বর কেন্দ্রের দুই হাজার ৩৭৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৯ জন।
৩৭ নম্বর কেন্দ্রের দুই হাজার ৪০৬ জন ভোটারের ভোট দিয়েছেন ২৪ জন এবং ৩৮ নম্বর কেন্দ্রের দুই হাজার ২৪৮ জন ভোটারের মধ্যে ৪৫ জন ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রগুলোর প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা।
আসনটির হাজারীবাগ, ট্যানারি মোড় এলাকা ঘুরেও একই চিত্র দেখা গেছে। এসব এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের আনাগোনা চোখে পড়েনি।
জিগাতলা মনেশ্বর রোডের ইকরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিজাইডিং অফিসার জসিম উদ্দিন জানান, তিন হাজার ৮২৬ জন ভোটারের মধ্যে প্রথম তিন ঘন্টায় ৫৭ জন ভোট দিয়েছেন।
ইভার ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্রে তিন হাজার ৬৫৮ জন ভোটারের মধ্যে তিন ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ৭৬ জন। একই এলাকার মনেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রথম দুই ঘন্টায় তিন হাজার ৩৯৭ জন ভোটারের ২৩ জন ভোট দিয়েছে বলে জানান প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ইসরাফিল সিকদার।
এছাড়া ভোট শুরুর প্রথম দুই ঘন্টায় জিগাতলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই হাজার ৮৭৭ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৮ জন। জিগাতলা পোস্ট অফিস এলাকার হযরত আয়েশা (রা.) একাডেমি কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৬৩০ জন। এর মধ্যে প্রথম দুই ঘন্টায় ভোট দিয়েছেন ৩০ জন জন।