চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে যাওয়ার ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কেনসিংটন ওভালে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ১৯২ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেভিড মিলার ও ইমরান তাহির হয়েছেন রানআউট! এই ম্যাচের জয়ী দল বাংলাদেশের বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলবে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং-এ নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলা ১০৫ বল মোকাবেলা করেন ৭৬ রানের জুটি গড়েন। প্রথম দু’ম্যাচ একাদশের বাইরে থাকা অফ-স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। ৫৪ বলে ৩৫ রান করা আমলা শিকার হন অশ্বিনের।
আমলা ফিরে যাবার পর দক্ষিণ আফ্রিকার রানের চাকা সচল রেখেছিলেন ডি কক ও ফাফ ডু-প্লেসিস। ভারতীয় বোলারদের ওপর চড়াও মেজাজে খেলতে থাকেন তারা। এরমাঝে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি কক। অর্ধশতকের পর ডি ককের উইকেট উপড়ে ফেলেন ভারতের বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা। ফলে ৪টি চারে ৭২ বলে ডি ককের ৫৩ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
এরপর বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন ডু-প্লেসিস ও অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু সেটি হয়নি ভারতীয় ফিল্ডারদের দক্ষতায়। ডি ভিলিয়ার্সকে রান আউটের পর ডেভিড মিলারকেও একই পরিকল্পনায় ফেরান হার্দিক পাণ্ডিয়া ও জাসপ্রিত বুমরাহ। ডি ভিলিয়ার্স ১৬ ও মিলার ১ রানে ফিরেন। ফলে ১৪২ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দেন ভারতের তিন বোলার ভুবনেশ্বর কুমার-বুমরাহ ও পাণ্ডিয়া। ডু-প্লেসিসকে ৩৬ রানে থামিয়ে ভারতীয় বোলারদের জ্বলে উঠার পথ দেখান পাণ্ডিয়া। তাই ১৫৭ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডু-প্লেসিস বিদায়ের পর ১৯১ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পাঁচ উইকেটের মধ্যে ৪টি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ভুবনেশ্বর ও বুমরাহ। তাই শেষ পর্যন্ত ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন জেপি ডুমিনি। ভারতের ভুবনেশ্বর ও বুমরাহ ২টি করে উইকেট নেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর