সোমবার বিকেলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পরামর্শ দেয় ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব ধরণের ঘরোয়া খেলা স্থগিত, এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে সব আন্তর্জাতিক খেলা।
দর্শক সমাগম খুব একটা না হওয়ার কারণেই ঢাকা লিগ আয়োজন স্থগিত করার ব্যাপারে খুব একটা শঙ্কা ছিল না আয়োজকদের। তবে বৈশ্বিকভাবেই পরিস্থিতি ধারণ করেছে ভয়াবহ রূপে। বাংলাদেশেও করোনা ধরা পড়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে সাম্প্রতিক সময়ে।
সরকারি সচেতনতা বৃদ্ধির পর স্থগিত হলো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরের বাকি ম্যাচগুলো। আগামীকাল থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে এই স্থগিতাদেশ। এখন আপাতত ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল ঘরোয়া টুর্নামেন্ট স্থগিত রাখার ঘোষণা এসেছে সরকারীভাবে। আজ দুপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছিলেন তারা অপেক্ষা করছেন সরকারী নির্দেশনার। যদিও সরকারী নির্দেশনা আসার পর কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখন অব্দি আসেনি বিসিবির তরফ থেকে।
এর আগে আজ (১৬ মার্চ) দুপুর নাগাদ ঝুলে থাকা পাকিস্তান সফরের শেষ দফাও স্থগিত ঘোষণা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। করোনা আশঙ্কায় আপাতত একটি ওয়ানডে ও টেস্ট খেলতে পাকিস্তান যাওয়া হচ্ছেনা তামিম-মুমিনুলদের। এদিকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সকল স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন স্পোর্টস ইভেন্ট বন্ধ করা হয়েছে। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজ, শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজ বন্ধ করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে আইপিএল, ভারতের ঘরোয়া লিগ। পাকিস্তানে পিএসএল চললেও তা চলছে দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে, বিদেশী ক্রিকেটাররা ছাড়ছেন পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ডে স্থগিত হয়েছে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট।