সংবাদমাধ্যমটিতে নন্দিনী দাবি করেছেন—গত ১ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ তাপস পালকে বান্দ্রার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাপসের অসুস্থতা সম্পর্কে বলতে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তা শুনতে রাজি হননি। উল্টো বলেন, ‘রোগীর পাস্ট হিস্ট্রি শুনতে উৎসাহী নই।’ শুধু তাই নয়, জানতে চান তাপসকে কেন হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে ৫০ হাজার রুপি হাসপাতালে জমা দিতে বলেন। না হলে চিকিৎসা শুরু হবে না বলেও জানানো হয়। এরপর মেয়ের বাড়িওয়ালার সাহায্যে অর্থের জোগাড় করেন। তারপর তাপসকে ভেন্টিলেশন দেওয়া হয় বলে দাবি করেন নন্দিনী।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি তাপস পালের ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়া হয়। তাপস তখন পুরোপুরি সুস্থ। কিন্তু তারপর থেকে সমস্যা শুরু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো খাবার দিত না। নার্সরা ক্যাফেটেরিয়া থেকে খাবার এনে খাওয়াতে বলত। এ নিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে একদিন নার্সদের ঝামেলাও হয়েছিল বলে জানান তিনি। নন্দিনী বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ে তাপস। আমাদেরকে না জানিয়ে ডায়ালাইসিস শুরু করে। একদিন দেখি তাপসকে বেঁধে রেখেছে। কারণ জানতে চাইলে বলে, ‘এখন শিফটিং চলছে। তাই রোগীকে কারো নজরে রাখা সম্ভব নয়।’’
নন্দিনী বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমরা ঠিক করি ১৭ ফেব্রুয়ারি তাপসকে নিয়ে কলকাতায় ফিরব। কিন্তু সে দিন রাতেই সব তছনছ হয়ে যায়। ওই দিন হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয় তাপসের হিমোগ্লোবিন ৩.৫। অথচ ওই দিন সকালে দেখেছি তাপসের হিমোগ্লোবিন ৯। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের অনুমতির অপেক্ষা না করে তাপসকে রক্ত দেয়। এরপর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। তখন সিনিয়র কোনো ডাক্তারও উপস্থিত ছিল না।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন নন্দিনী। তিনি বলেন—‘আমার স্বামীকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেরে ফেলেছে। আমি এই মৃত্যুর বিচার চাই। ছাড়ব না। ন্যায়বিচার চাইতে মুম্বাই এসেছি।’