যারা ডিভিশন পেয়ে থাকেন তাদের আলাদা রুম বা সেলে রাখা হয়। সেখানে খাট, ভালো বিছানা, টেবিল, চেয়ারসহ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের খাবারও সাধারণ বন্দির চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম। ডিভিশন পাওয়া বন্দিদের জন্য একজন করে সহকারী দেওয়া হয়। তারা সংশ্লিষ্ট বন্দির প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে দেন। এছাড়া কারাগারের বাইরে থেকে স্বজনদের দেওয়া খাবার যাচাই-বাছাই করে তাদের দিয়ে থাকে কারা কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে যেসব কারাবন্দি ডিভিশন সুবিধা পাচ্ছেন তারা হচ্ছেন: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার হওয়া এনএসআই’র সাবেক ডিজি ওয়াহিদুল হক, দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় গ্রেফতার হওয়া পুলিশের সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমান, ডিআইজি মিজানের সঙ্গে মামলা নিয়ে আঁতাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা এনামুল বাছির, মানবতাবিরোধী মামলার আসামি সাতক্ষীরার সাবেক এমপি মাওলানা আবদুল খালেক, দুদকের মামলায় কারা অধিদফতরের ডিআইজি প্রিজন্স (সদর) বজলুর রশিদ, সিলেট বিভাগের সাবেক ডিআইজি (প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিক, সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহাম্মদ, সোনালী ব্যাংকের এজিএম এজাজ আহমেদ, বেসিক ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন, সমবায় অধিদফতরের উপ-নিবন্ধক মিজানুর রহমান এবং আজম রেজা (যিনি ঢাকা ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন)।
ডিভিশন সুবিধা পাওয়া অন্যদের মধ্যে দুদকের মামলায় গ্রেফতার হওয়া চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক জেলার সোহেল রানা ও অডিট অফিসার গোলাম হায়দার রয়েছেন। তারা আছেন কিশোরগঞ্জ কারাগারে। কাশিমপুর কারাগার-১ ও ২ এ ডিভিশন পাওয়া বন্দি আছেন ১৬ জন। তাদের মধ্যে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বালিশ কেলেঙ্কারির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া কয়েকজন প্রকৌশলী রয়েছেন। এরমধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হচ্ছেন, ওই প্রকল্পের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদুল আলম, পাবনা গণপূর্ত উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন কুমার নন্দী, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, জাহিদুল কবির, শফিকুল ইসলাম ও রওশন আলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মোহাম্মদ তাহাজ্জুদ হোসেন, আহমেদ সাজ্জাদ খান, সহকারী প্রকৌশলী তারেক খান ও আমিনুল ইসলাম। বাকি ৩ জনের নাম জানা যায়নি।
কারাগারে কারা ডিভিশন পায় এবং কীভাবে দেওয়া হয় জানতে চাইলে কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক (প্রিজন্স) কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, যেকোনও প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা, এমপি, সাবেক এমপি, মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী কিংবা উচ্চপদস্থরা ডিভিশন সুবিধা পেয়ে থাকেন। এছাড়া কোনও বন্দি ডিভিশন সুবিধার জন্য আদালতের নির্দেশনা নিয়ে আসলে তাকেও এ সুবিধা দেওয়া হয়।