এতে বলা হয়েছে, দূষণের কারণে বছরে ৮৮ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়। তেল, গ্যাস ও কয়লা পুড়ে দূষণের যে মিশ্রণ তৈরি হয় সেগুলোর অণু ফুসফুসের ক্ষতি করে।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক জার্মানির ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনিস্টিটিউটের জস লেলিভেল্ড বলেন, ‘গণস্বাস্থ্যের জন্য ধুমপানের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বায়ুদূষণ। এর অধিকাংশই জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে পরিষ্কার পুনঃনবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে এড়ানো সম্ভব।’
গবেষণায় দেখা গেছে, ম্যালেরিয়ার তুলনায় বায়ুদূষণে অকাল মৃত্যুর হার ১৯ গুণ, এইচআইভি বা এইডসের তুলনায় ৯ গুণ এবং মদপানের তুলনায় তিনগুণ বেশি। দূষণের কারণে বছরে ৮৮ লাখের অর্ধেক মারা যায় হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে ও স্ট্রোকে, বাকী অর্ধেক মারা যায় ফুসফুসের রোগ এবং ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের মতো অসংক্রামক রোগে।
দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার এশিয়া মহাদেশ। এই অঞ্চলের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে দূষণে মানুষের আয়ু কমছে ৪ বছর এক মাস। তালিকায় পরের অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের বাসিন্দাদের গড় আয়ু কমছে তিন বছর আট মাস।