দেশ জনতা ডেস্ক : সপ্তাহের চতুর্থ ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত কার্যদিবসের চেয়ে সূচক কমে শেষ হয়েছে এ দিনের লেনদেন কার্যক্রম। তবে এ দিন উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন বেড়েছে।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট এবং সিএসইর প্রধান সূচক ১৮ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট কমেছে।
এদিন উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৮১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৩৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই
এদিন ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৭৫৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৬৯৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৪০ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭৫ পয়েন্টে এবং ৭ দশমিক ৪০ পয়েন্ট কমে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫১টির, কমেছে ১৩৩টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৪১টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স, শাহজিবার পাওয়ার, বিডি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ইসলামিক ফাইন্যান্স, ডোরিন পাওয়ার এবং বারাকা পাওয়ার।
সিএসই
অন্যদিকে এদিন সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ৫৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৪১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং সিএসইতে গত কার্যদিবসের চেয়ে শেয়ার লেনেদেন বেড়েছে ১৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বেশি।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১৮ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ২৮ দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ১৭৮ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ৯১ দশমিক ০৩ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ১৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ১১০টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ২৮টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ঢাকা ব্যাংক, বারাকা পাওয়া, ন্যাশনাল ফাইন্যান্স, ইউনাইটেড পাওয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, বিডি ফাইন্যান্স, মবিল যমুনা, সাইফ পাওয়ার এবং ফারইস্ট ফাইন্যান্স।