যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে আল হারমাইন ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজের বিভিন্ন দেশের অফিসের যে ঠিকানা রয়েছে, তার মধ্যে ঢাকার উত্তরায় ওই দুই সংস্থার অফিস আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত এক বাংলাদেশি কূটনীতিক বলেন, ‘ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কালো তালিকাভুক্ত করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে ওইসব সন্ত্রাসী সংগঠনের যে সম্পত্তি আছে সেগুলোকে বাজেয়াপ্ত করে থাকে।’ তিনি জানান, গোটা বিষয়টি তাদের জাতীয় নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয় এবং এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী সংগঠনের আর্থিক ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়।’
যুক্তরাষ্ট্র কালো তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের বিষয়ে বাংলাদেশকে কোনও তথ্য দেয় কিনা জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে একটি বোঝাপড়া আছে। যার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে।’
এদিকে, জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে যে অভিযোগ তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কংগ্রেসম্যান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানি এবং ওই কংগ্রেসম্যানরা আমাদের বিষয়টি জানিয়েছেন।’
এ বিষয়ে পরবর্তী কর্মপন্থা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসম্যানরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টকে আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তারাই পদক্ষেপ নেবে।’
জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করছে অভিযোগ করে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন কংগ্রেসম্যান তাদের স্টেট ডিপার্টমেন্টকে অনুরোধ করেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য। কংগ্রেসম্যানরা অভিযোগ করেছেন, জামায়াত ও এর সঙ্গে সংযুক্ত অঙ্গ-সংগঠনগুলো শুধু দক্ষিণ এশিয়াতেই তাদের কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখেনি, দলটি এশিয়া ও ইউরোপের অন্যান্য অঞ্চলে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে।
ইন্ডিয়ানার কংগ্রেসম্যান জিম ব্যাংকস, টেনেসির চাক ফ্লেইসমান ও টেক্সাসের র্যারন্ডি ওয়েবার গত ১ নভেম্বর স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাউন্টার টেরোরিজম কোঅর্ডিনেটর নাথান সেলসের কাছে জামায়াতের সন্ত্রাসী অর্থায়নের তথ্য-প্রমাণসহ একটি চিঠি পাঠিয়েছে।