রাজধানীর আবাসিক হোটেলগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। প্রয়োগ করা হবে সরাইখানা সম্পর্কিত সব ধরনের আইন।
বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্নস্থানে ফাইভ স্টার, থ্রি স্টারসহ অনেক আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব আবাসিক হোটেলে কারা প্রতিদিন আসছেন, অবস্থান করছেন এবং চলে যাচ্ছেন- তাদের নাম ঠিকানা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এসব হোটেলে কোন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ যেন না হয় তার জন্যই এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও আগে থেকেই এগুলো অব্যাহত ছিল। তারপরও সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই পুলিশ কমর্কর্তা বলেন, ‘একটি হোটেলে কী ধরনের কার্যকলাপ চলতে পারে, তাদের কী নিয়ম-কানুন আছে, কারা ভাড়া নিয়ে হোটেলে থাকতে পারবে, তা চেক করে দেখা হবে। সেখানে কী কী করার নিয়ম আছে তাও দেখা হবে।’
সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া আলোচিত শামীমা নূর পাপিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘পাপিয়ার অবস্থানের বিষয়ে হোটেলের কি দায় আছে, তাও খতিয়ে দেখা হবে। কেননা তার দ্বারা কয়েকটি হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। অনেক তথ্য-প্রমাণাদিও আছে। এ কারণে প্রয়োজন হলে গোয়েন্দারাও বিষয়টি ভেবে দেখবে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সদ্য বহিস্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়াকে র্যাব আটকের পর ওয়েস্টিন হোটেল, গুলশানের একটি বিলাসবহুল হোটেলসহ আরো কয়েকটি হোটেলে তার অসামাজিক কার্যকলাপের তথ্য-প্রমাণাদি বের হয়ে আসছে। তারই অংশ হিসেবে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশে হোটেলগুলো যেন অসামাজিক কার্যকলাপ মুক্ত থাকে সেজন্য এই নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।