রোববার থেকে চলা এই বিক্ষোভে দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে জাফরাবাদ, মৌজপুর, চাঁদবাগ, কারওয়াল নগরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কাউকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েনের দাবি উঠেছিল। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, যথেষ্ট সিআরপি নামানো হয়েছে। এখনই সেনা ডাকার দরকার নেই।
পরিস্থিতি সামলাতে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে আগামী এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। দুদিন বন্ধ থাকবে উত্তর-পূর্ব দিল্লির পাঁচটি মেট্রো স্টেশন। সংঘর্ষের ছবি না দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয় বেসরকারি চ্যানেলগুলিকে।
তবুও সংঘর্ষ পাথর-যুদ্ধ, গুলি, ভিড় জমিয়ে মারধর, অসংখ্য বাড়ি-দোকানে আগুন লাগানো, লুঠতরাজ কিছুই বাকি থাকেনি। উত্তর-পূর্ব দিল্লির আকাশে সারা দিনই কালো ধোঁয়া পাকিয়ে পাকিয়ে উঠেছে।
উত্তর-পূর্ব দিল্লির গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে গুরুতর আহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে মৃত্যুও বাড়ার আশঙ্কা। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আহতদের প্রায় অর্ধেক গুলিবিদ্ধ। সোমবার দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল রতন লাল বাম কাঁধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এছাড়া পুলিশ বাহিনীর অন্তত ৫০ জন ও সাংবাদিক চারজন আহত হয়েছেন।
রাজধানীর দিল্লির প্রবীণরা বলছেন, ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী দাঙ্গার পরে শহরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। বছর পাঁচেক আগেও পূর্ব দিল্লির ত্রিলোকপুরীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়েছিল। কিন্তু কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
সূত্র: আনন্দবাজার,এনডিটিভি