প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, শক্তিক্ষেত্রে কৌশলগত অংশিদারিত্ব, তথ্যপ্রযুক্তি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের মতো সব বিষয়েই আলোচনা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এই সফর দু’দেশের কাছেই অত্যন্ত ফলপ্রসূ। আমাদের মধ্যে অ্যাপাশে ও এমএইচ-৬০ হেলিকপ্টার কেনা-বেচার চুক্তি হয়েছে। এই হেলিকপ্টারগুলি বিশ্বের মধ্যে উন্নততম। সন্ত্রাসবাদ রুখতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। একই সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের সঙ্গেও নিরন্তর আলোচনা চালাচ্ছে আমেরিকা।’
বৈঠকের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেমন ভারতের অভ্যর্থনায় আবেগাপ্লুত, তেমনই মোদিও তাকে ভারত সফরের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ভারতীয়রা যেভাবে তাকে স্বাগত ও অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তাতে অভিভুত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘গত দু’দিন, বিশেষ করে আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে যেভাবে আমাকে আপনারা স্বাগত জানিয়েছেন, সেটা আমার কাছে বিরাট সম্মানের’।
এসময় মোদিকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘ওখানে হয়তো আমার চেয়ে আপনার জন্যই বেশি লোক ছিল। সোয়া লক্ষ মানুষ স্টেডিয়ামের ভিতরে ছিলেন। যতবারই আমি আপনার নাম করেছি, তারা উল্লাসে ফেটে পড়েছেন। দেশের মানুষ আপনাকে খুব ভালবাসে।’
পাল্টা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, ‘আপনাকে এবং আপনার সঙ্গে আসা মার্কিন প্রতিনিধিদের আমি স্বাগত জানাই।’
আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে। সরাসরি ভোটের কথা উল্লেখ না করেও মোদি বলেন, ‘আমি জানি আপনি এখন খুব ব্যস্ত। তবু আপনি সময় বের করে ভারত সফরে এসেছেন। তার জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।’
বৈঠকের বিষয়ে মোদি বলেন, ‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করতে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। একুশ শতকে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘এর আগে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক কখনও এত ভাল ছিল না। আমরা এমন কিছু কাজ করেছি, যা দু’দেশের উন্নয়নে সহায়ক হবে। সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য দুই দেশ যৌথ ভাবে কাজ করবে। নারী শক্তি বৃদ্ধিতে দুই দেশ যৌথ ভাবে কাজ করছে। ভারতীয় উপমহাদেশের শান্তি ও স্থিতাবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ, সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে। ইসলামিক সন্ত্রাস রুখতে মোদী এবং আমি একসঙ্গে কাজ করি এবং করব। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দু’দেশের সম্পর্ক আরও ভাল করতে প্রতিরক্ষা চুক্তি হচ্ছে। আমার মনে হয়, মোদীও সেটা স্বীকার করবেন। আমি মনে করি দু’দেশের কাছেই এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাজমহল ও গান্ধী আশ্রম আমাকে অভিভুত করেছে। ভারতের আতিথেয়তায় আমি এবং মেলানিয়া মুগ্ধ।’