সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সুজন আয়োজিত ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন ও মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
সুজন বলেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ঢাকার দুই সিটির ভোটে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ এসেছিল। তবে তারা সে সুযোগ কাজে লাগায়নি। অতীতের মতো সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা সিটি নির্বাচনেও ইসি ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে।
লিখিত প্রতিবেদন পাঠ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি ছিলেন সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান। আর বক্তব্য দেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রুবায়েত ফেরদৌস।
লিখিত বক্তব্যে সুজন জানায়, সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খুবই অল্প ভোট পড়েছে। উত্তর সিটিতে গড় ভোট পড়েছে ২৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং দক্ষিণে পড়েছে গড়ে ২৯ দশমিক সাত শতাংশ।
নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর ভোটারদের আস্থা না থাকা (অর্থাৎ ভোট সুষ্ঠু হবে না এ ধরনের পূর্ব ধারণা) থেকে এমনটি হয়েছে বলে মনে করে সুজন।
একইসঙ্গে নির্বাচনের দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকা এবং দুইদিন ছুটি থাকাও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছে সংস্থাটি।
সম্মেলনে ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিকস ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের প্রসঙ্গে কথা বলেন সুজনের বক্তারা।
তারা বলেন, জাল ভোট প্রতিরোধে ইভিএম এনেছে নির্বাচন কমিশন। তবু ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেননি তারা। ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মাঝে যে উদ্বেগ ও আস্থাহীনতা ছিল, নির্বাচনের পর তা কাটিয়ে ওঠা ইসির পক্ষে সম্ভব হয়নি। এই উদ্বেগ ও আস্থাহীনতা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ার ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করেছে।
নির্বাচন কমিশনের এসব ব্যর্থতায় ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনগুলো দেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে বলে মনে করে সংস্থাটি।