মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। শুধু তাই নয় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষকের সহধর্মিণী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ছিলেন। সেই নেত্রীর মুক্তির জন্য মানববন্ধন করতে হচ্ছে। এর চাইতে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া একজন গৃহবধূ ছিলেন। জাতির প্রয়োজনে তিনি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে নেমে এদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। আজকে সেই নেত্রী কারাগারে বন্দি। এর চাইতে বড় লজ্জা আর কিছু হতে পারে না।’
‘এই মামলায় জামিন তার অধিকার। তাকে আটকে রাখার কোনো আইনি বিধান নেই। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাকে কারাগারে আটকা রাখা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এরকম মামলায় নাজমুল হুদা জামিনে আছেন, আপনাদের মন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া জামিনে আছেন, মহিউদ্দিন আলমগীর জামিনে আছেন। আর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য যিনি গণতন্ত্রের মা সেই দেশ নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জায়গা দেয়া হয় না সমাবেশ করার। আজকের এই সমাবেশটি করার কথা ছিল গত বৃহস্পতিবার। সেদিন আমাদের এই সমাবেশ করতে দেয়া হয় নাই। আমরা এদেশ স্বাধীন করেছি কি এর জন্যই? প্রতিবাদ করতে পারব না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারব না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের সেই চরিত্র নয়। বাংলাদেশের মানুষ সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, সবসময় সংগ্রাম করেছে, স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে।’
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার, শ্রমিক নেতা আবুল খায়ের খাজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।