নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করেছেন নুরুন্নাহার নাসিমা বেগম নামে এক নারী। মামলায় তিনি চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগ এনেছেন।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম এই অভিযোগের তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল, এসআই শহীদ, এএসআই দীন ইসলাম ও আবদুর রহিম, জাহানারা রশিদ, রোকেয়া রশিদ, আতাউর রহমান কায়সার ও শুকুর আলী।
বাদীর আইনজীবী ইসমাইল মির্জা বলেন, মামলার আসামি জাহানারা রশিদ বাদীর (নুরুন্নাহার নাসিমা বেগম) সতিনের মেয়ে। তাঁদের মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মামলা চলছে। জাহানারার বাসায় বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। এ কারণে তিনি ডেসকোর কর্মকর্তাদের ডেকে বাদীর বাসা থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ দিতে বলেন। কিন্তু বাদী এতে রাজি না হলে উল্টো জাহানারা বিদ্যুৎ অফিসের দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
পরে বাড্ডা থানা-পুলিশের সহযোগিতায় জাহানারা বাদীকে ভয়ভীতি দেখান। পরবর্তী সময়ে ওসির নির্দেশে এএসআই দীন ইসলাম ও এসআই শহীদ বাদী এবং তাঁর সন্তানদের মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন।
গত ২৬ মে পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা ওসির নির্দেশে বাদীর ভাড়াটেদের বের করে দিয়ে ফ্ল্যাটে তালা ঝুলিয়ে চাবি নিয়ে যান। পরে থানায় ওই চাবি নিতে গেলে বাদীর কাছে পুলিশ ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
সর্বশেষ গতকাল শনিবার ওসি জলিলের নির্দেশে পুলিশ কর্মকর্তা শহীদ ও দীন ইসলামসহ পুলিশের আরও পাঁচ-ছয়জন সদস্য বাদীর ছেলে রবিন দেওয়ানকে জাহানারার বাসায় বিদ্যুৎ-সংযোগ দিতে বলেন। রবিন এতে না বললে, দীন ইসলাম ও শহীদ তাঁকে গালিগালাজ ও মারধর করেন। পরে হাতুড়ি দিয়ে মিটারের বাক্সের তালা ভেঙে মামলার আসামি বিদ্যুৎ মিস্ত্রি শুকুর আলীর মাধ্যমে জাহানারার বাসায় বিদ্যুৎ-সংযোগ দেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, পুলিশের এএসআই দীন ইসলাম বাদীর বাসার তালা ভেঙে ২০ হাজার টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করেছেন। মামলার আসামি জাহানারা বাদীর জমিজমাসংক্রান্ত কাগজপত্র চুরি করেছেন। এর আগে দীন ইসলাম বাদীর ছেলেকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

