২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:১৫

কথিত ভণ্ডপীরসহ ৯ জনের সাজা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং প্রতারণার মামলায় দোহার থানাধীন লটাখোলায় জনৈক ভণ্ডপীর মো. মতিউর রহমানসহ নয় জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) এ এফ এম মারুফ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন- সেন্টু পীর, শুকুর, লিয়াকত, কাজল, জিন্টু, আলমাছ, জুলহাস ও আরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল জানান, মতিউর রহমানকে পৃথক দুই ধারায় তিন বছর এবং অপর আসামিদের এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘জিন্টু এবং আরিফুল ইসলাম মামলাটিতে পলাতক রয়েছে। রায় ঘোষণার সময় সাত আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং প্রতারণার অভিযোগে মতিউর রহমানসহ নয় জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর দোহার থানায় মামলাটি দায়ের করেন সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মো. তছলিম উদ্দিন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর নিউজ ২৪ চ্যানেলে প্রচারিত ‘টিম আন্ডার কভার’ সংবাদে দোহার থানাধীন লটাখোলা সাকিনে জনৈক ভণ্ডপীর মতিউর রহমান তার সঙ্গীসহ প্রতারণার মাধ্যমে মুসলিম নারী ও পুরুষদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।

সংবাদে তিনি দেখতে পান, আসামিরা এলাকার সহজ, সরল নারী ও পুরুষদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে সাড়ে ৭০০ করে টাকা নিয়ে পবিত্র হজের ন্যায় প্রতীকি অবস্থার সৃষ্টি করে হজ পালন করায়। ভণ্ডপীর মতিউর রহমান তার সহযোগীদের নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে মিথ্যা ভ্রান্ত ধারণা প্রদান করে মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে মুরিদ তৈরি করে নারীদের দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করায় বলে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন।

মামলাটি তদন্ত করে দোহার থানার পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম শেখ ২০১৭ সালের ৩০ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছর ৩ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভূক্ত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০ ৬:০১ অপরাহ্ণ