আজ বিকেলে কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে প্রথমে তাকে গান স্যালুট প্রদান করা হয়। এরপর তাপস পালের শেষকৃত্য শুরু হয়।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুপুর ১টার পর রবীন্দ্রসদন থেকে কেওড়াতলায় নিয়ে যাওয়া হয় তাপস পালের মরদেহ। সেখানে প্রথম তাকে গান স্যালুট প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আরো উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চ্যাটার্জি। এছাড়াও টলিউড ইন্ডাস্টির শিল্পী-পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রিয় শিল্পীকে বিদায় জানাতে এসে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মেয়ের কাছে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যান তাপস পাল। তখন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি। মঙ্গলবার ভোররাতে দ্বিতীয়বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে মারা যান তিনি।
তাপস পালের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিউড। অভিনয়শিল্পী মাধবী মুখার্জি, সৌমিত্র চ্যাটার্জি, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা, দেব, মিমি, নুসরাত, সোহম, পায়েলসহ সব তারকাই শোক প্রকাশ করেছেন। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের অভিষেক চলচ্চিত্রের নায়ক ছিলেন তাপস পাল। প্রিয় সহকর্মীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন এ অভিনেত্রীও।
১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্মগ্রহণ করেন তাপস পাল। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। মাত্র ২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘দাদার কীর্তি’। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।
‘গুরুদক্ষিণা’ সিনেমার জন্য তাকে আজীবন মনে রাখবে বাংলা সিনেমাপ্রেমীরা। তাপস পাল অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো- ‘সাহেব’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘পারাবত’, ‘প্রিয়া’ প্রভৃতি। ‘সাহেব’ সিনেমার জন্য ১৯৮১ সালে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি ২০০৯ সালের ভারতের সাধারণ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন এই অভিনেতা।