মেগ ল্যানিং (অস্ট্রেলিয়া) :
অসাধারণ ক্রিকেট মেধা এবং সিল্কি স্ট্রোক খেলে চোখ ধাঁধান। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ল্যানিংকে সেরাদের একজন ধরা যায়। ১৬ বছর বয়সে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক এবং প্রায় সময় ব্যাটিং রেকর্ড ভেঙে চলেছেন। অধিনায়কত্বও হয়েছে প্রশংসিত।
‘মেগাস্টার’ নামে পরিচিত ল্যানিং ৯৮ টি-টোয়েন্টি খেলে রান করেছেন ২৬৫৬টি। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস অপরাজিত ১৩৩ রানের। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেন ২৭ বছর বয়সী এ ডানহাতি ব্যাটার। এর চার বছর আগে ২০১৪ সালেও চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ছিলেন।
হিদার নাইট (ইংল্যান্ড) :
সঠিক সময়ে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজে ক্যারিয়ার সেরা ৭৮ রান করেছেন এবং এরপর সুপার ওভারের চাপের মধ্যেও টানা বাউন্ডারিতে দলকে জেতান।
ভারতের বিপক্ষে করেছেন ৬৭ রান। ৪৪.০০ গড়ে ১৭৬ রান করে সিরিজের তৃতীয় শীর্ষ ব্যাটার হিদার। সিরিজ শেষ করেছেন ভারতের স্মৃতি মান্ধানা (২১৬) ও অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনির (২০৮) পরে থেকে।
সুজি বেটস (নিউজিল্যান্ড) :
বহুপ্রতিভার ক্রীড়াবিদ, ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে নিউজিল্যান্ডের হয়ে বাস্কেটবল খেলেছেন বেটস। ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে ছিলেন প্রত্যেকবার এবং টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ২২ ইনিংসে ফিফটি বা তারও বেশি রান।
ক্রিকেটের মারকুটে ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পেয়ে গেছেন। ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে নেতৃত্ব দেওয়ার পর ছেড়েছেন অ্যামি স্যাটার্থওয়েটের কাছে। ১১৫টি টি-টোয়েন্টি খেলে বেটসের রান ৩১৯৫ এবং উইকেট ৪৯টি। ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে বিশ্বের শীর্ষ ব্যাটার তিনি।
শেফালি ভার্মা (ভারত) :
মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়। ১৬ বছর বয়সী এ ব্যাটার আলোকিত করতে পারেন এবারের বিশ্বকাপ।
আগ্রাসী টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে তার অভিষেক হয় সেপ্টেম্বরে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় হাফসেঞ্চুরিয়ান হন পঞ্চম ইনিংসেই। ভাঙেন শচীন টেন্ডুলকারের ৩০ বছরের রেকর্ড। সম্প্রতি ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১২৪ বলে ৭৮ রান করেন ১৯ চার ও ৪ ছয়ে।
স্টেফানি টেলর (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) :
জ্যামাইকান টেলর ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক এবং ২০০৮ সাল থেকে টপ অর্ডারে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে আছেন। প্রায় ৩ হাজার রান করেছেন ১০০ টি-টোয়েন্টি খেলেই। এছাড়া তার অফস্পিনও বেশ ভয় ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের।
২০১৬ সালের বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন টেলর। দলের প্রাণভোমরা ছিলেন তিনি। আবারও যদি ব্যাট-বল হাতে জ্বলে ওঠেন, তাহলে চার বছর আগের শিরোপা উদ্ধারের ভালো সুযোগ আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
এলিস পেরি (অস্ট্রেলিয়া) :
বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। পেরি শুধু ক্রিকেটই খেলেন না, অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল দলের হয়ে ১৮ ম্যাচ খেলেছেন। ছিলেন ২০১১ সালের ফিফা বিশ্বকাপেও।
তবে ফুটবল ছেড়ে এখন তিনি পুরোদস্তুর ক্রিকোর। অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। একই সঙ্গে ব্যাট হাতেও পাল্টে দিতে পারেন ম্যাচ। ছেলে-মেয়েদের ক্রিকেট মিলিয়ে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে ১০০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন পেরি।