নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজনীতি করতে করতে বয়স শেষ হয়ে গেলেও চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। তবে ক্ষমতাসীন দল করলেই চাকরি পাওয়া যাবে না। আগে রিটেনে টিকবে তারপর চাকরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দু কাদের।
রবিবার (১১ জুন) দুপুরে বুয়েট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দু কাদের ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘তোমরা অপকর্মে লিপ্ত না হয়ে টাকার দরকার হলে আমার কাছে এসো। তোমাদের টাকা দরকার হলে আমার কাছে আসবে। যখন ছাত্রত্ব শেষ করবে চাকরি দরকার হবে তখন আমার কাছে আসবে। রাজনীতি করতে করতে বয়স শেষ হয়ে গেলেও আমি তোমাদের চাকরির ব্যবস্থা করবো। এটা নেত্রী আমাকে বলে দিয়েছেন। এমন কিছু করবে না যাতে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। তবে ক্ষমতাসীন দল করি বলেই চাকরি পাবো তা নয়। রিটেনে টিকবে তারপর চাকরি। নিয়মতো আমি প্রত্যেকের জন্য চেষ্টা করবো।’
সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চলছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত অপপ্রচার রোধ করতে ছাত্রলীগকে একটা করে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিছিলে না এলে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের হলে সিট বাতিল করবে, এটা চলবে না। তাদের বুঝাবে, তোমার ভালো আচরণ দিয়ে তাদের বুঝাবে। জোর করে ক্ষমতার দাপট দেখাবে না।’ তিনি বলেন, ‘দেশে আর আজিজ মার্কা নির্বাচন হবে না। আপনার আমলে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিলেন। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে সরকার শুধু রুটিন মাফিক কাজ করে কমিশনকে সাহায্য করবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির মুখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আর রূপকথার গল্প এক কথা। ছাত্রলীগকে বলবো, প্রতিটি জেলায় দ্রুত কমিটি দাও। পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিবে। কারো চাপে তাদের আত্মীয় স্বজন বা নিজস্ব লোকদের কমিটিতে আনবে না। যোগ্য ও ত্যাগীদের কমিটিতে আনবে। জেলা নেতাদের কথা শুনতে হবে, মতামত নিতে হবে। কিন্তু তাদের মতো করে কমিটি দেওয়া যাবে না। আমি নিজেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নেতা বানানোর জন্য ক্যাটাগরি বলি কিন্তু নাম বলি না।’
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিটের কমিটি দেওয়া হবে। সকল সমস্যার সমাধান করা হবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই আসুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন জাতির সামনে তুলে ধরি। আগামী নির্বাচনে বিগত দিনের মতো ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের পাশে থেকে কাজ করবে।
ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার কবির বলেন, টানা তিনবার আমরা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। দীর্ঘদিন পর ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা হলো। নির্দিষ্ট সময় পর পর বর্ধিত সভা নিয়মিত হলে সংগঠন আরো গতিশীল হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, সোহান খান, মশিউর রহমান শরিফ, যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক সাইফ উদ্দিন বাবু, সদস্য রাসেল খান প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ