দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকা করোনা ভাইরাসে সোমবার নতুন করে মারা গেছে আরও ৯৮ জন। এনিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা ১৮৬৮ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য কমিশন। এছাড়া এদিন ১৮৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৪৩৬ জনে।
গত বছরের ডিসেম্বরে হুবেই প্রদেশ থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া শুরু করে। ভাইরাসটি দ্রুত ছড়াতে শুরু করলে চীনের স্বাস্থ্য কমিশন প্রতিদিনই আক্রান্ত ও নিহতের তথ্য প্রকাশ শুরু করে। এতে দেখা যায় গত ৩০ জানুয়ারির পর থেকে কোনও দিনই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজারের নিচে নামেনি। আর গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে মৃতের সংখ্যা একশোর নিচে নামেনি। তবে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজারের নিচে এবং মৃতের সংখ্যা একশোর নিচে নেমে আসে। চীনের বাইরে ২৬টি দেশে ৮২৭ জন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে পাঁচ জন।
চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন আক্রান্তের সংখ্যা স্থিতিশীল হওয়ায় ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে নেওয়া পদক্ষেপ কার্যকর হচ্ছে। তবে এখনও ভাইরাসটি দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে সতর্ক রয়েছে বলে মনে করেন লন্ডনের স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক জিমি হোয়াইটওয়ার্থ। ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক হেলথের এই অধ্যাপক বলেন, ‘চীনে আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ায় হুবেই প্রদেশের প্রাদুর্ভাব চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছেছে বলে আশা করতে পারি কিন্তু সেটা সঠিক কিনা তা বিবেচনা করার সময় এখনও আসেনি’। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে অন্য দেশের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগগুলোর সতর্ক থেকে নতুন আক্রান্ত চিহ্নিত করা এবং তাদের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাসচিব টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, চীনা পরিসংখ্যানে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রবণতা সতর্কতার সঙ্গে বিশ্লেষণ করতে হবে। নতুন জনগোষ্ঠী আক্রান্ত হলে এই প্রবণতায় পরিবর্তন আসতে পারে’।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চীনের স্বাস্থ্য কমিশন প্রথমবারের মতো ভাইরাসটির সংক্রমণ কমে আসার কথা জানায়। সেদিন টানা তৃতীয় দিনের মতো আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমার কথা জানায় তারা। তবে সেই সংখ্যাও দুই হাজারের নিচে নামেনি।