পরিবারের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর রোগে ভুগছিলেন এই অভিনেতা। কথা বলা ও চলা-ফেরায় সমস্যা ছিল। ১ ফেব্রুয়ারি বান্দ্রার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়। গতকাল রাতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস পাল। মঙ্গলবার ভোররাত ৩টা ৩৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্মগ্রহণ করেন তাপস পাল। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল। কলেজে পড়াকালীন নজরে পড়েন পরিচালক তরুণ মজুমদারের। ২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তি’। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাপস পালকে। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।
উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সাহেব’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘পারাবত প্রিয়া’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’। ‘সাহেব’ ছবির জন্য পান ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার। বাংলার পাশাপাশি তাপস পাল অভিনয় করেছেন হিন্দি ছবিতেও। মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে অভিনয় করেন ‘অবোধ’ ছবিতে।
পরে রাজনীতিতে আসেন তাপস পাল। ২০০৯ সালে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ হন। নাম জড়ায় চিটফান্ডকাণ্ডেও। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রোজভ্যালিকাণ্ডে তাপস পালকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে রোজভ্যালি মামলায় তিনি জামিন পান।