সে কারণেই হয়তো বিবাহোত্তর সংবর্ধনাতেও মুখে ‘রা’ নেই। তবে জানা গেল তাদের এ অনুষ্ঠানের খবরটি।
তাদের পরিকল্পনা চূড়ান্ত। ছাপানো হয়েছে অনুষ্ঠানের কার্ড। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি এটি হবে কলকাতায় রাজকুঠির-এ।
সৃজিত কার্ডটিতে লিখেছেন, ‘‘পৃথিবীর সব উৎসবের ইতিহাসই বন্ধুবান্ধবদের খাওয়ানোর ইতিহাস। তাই নতুন আলুর খোসা আর ভালোবাসা দিয়ে ভাত-ডাল মাখার আগে চাই একটা জমজমাট হুল্লোড় আর ভূরিভোজ। ইংলিশ মিডিয়ামে যাকে বলে, ‘রিসেপশন’।’ খাঁটি বাঙালি শব্দ- বৌভাত।’’
লেখার শুরুটা করেছেন এভাবে, ‘‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ বলার দিন এবার শেষ। নৌকার পালে চোখ রেখে দিন কাটানোর আশায় বিয়েটা করেই নিলাম। তাই আপাতত মিথিলা আর সৃজিত এক রাস্তায় ট্রামলাইন, এক কবিতায় কাপলেট।’’
সবশেষে লিখেছেন, ‘আমাদের খুনসুটি আর ঝগড়াঝাঁটির জীবন আড্ডা দিয়ে জমজমাটি করে তুলতে আসবেন কিন্তু। নমস্কারান্তে- মুখার্জি কমিশন।’
ভালোবেসে গত ৬ ডিসেম্বর বিয়ে করেন সৃজিত ও মিথিলা। সে সময় তাড়াহুড়োতে বেশ ঘরোয়াভাবে শুভ কাজটি সারেন তারা। এতে বন্ধুবান্ধব অনেকেই হয়েছেন বেজার। আর সে কারণেই এই আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার আয়োজন।