গতকাল বুধবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে জেলার দৌলতখান উপজেলায় অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করা হয় বিধবা এক নারীকে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নির্যাতিতা ওই নারী জানান, তিনি একটি ক্লিনিকে রোগীর খবর নিতে গতকাল সন্ধ্যায় মিয়ারহাট এলাকায় যান। রাত সাড়ে আটটার দিকে সেখান থেকে অটোরিকশাযোগে বাংলাবাজারের উদ্দেশে রওনা হন। অটোটি হালিমা খাতুন কলেজের পেছনে আসলে চালক চিপস কিনতে পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে যান। তখন অটোতে ওই নারী একাই ছিলেন। এ সময় কলেজের সামনে থাকা সোহাগ ও মনজুরসহ চার যুবক তাকে অটো থেকে টেনে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে গেলে তিনি চিৎকার করেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
ওই নারীকে উদ্ধারে এগিয়ে আসা স্থানীয় এক দোকানি বলেন, কলেজের ভেতরে নারীর ডাক চিৎকার শুনে তারা ছুটে এসে দেখেন কলেজের ভেতরে প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় ওই নারী পড়ে আছে। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল পাঠান। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষকরা কলেজের পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
অটোটির চালক গিয়াস উদ্দিন জানান, তিনি চিপস কিনতে পাশের একটি দোকানে যান। পরে চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখেন কলেজের মধ্যে ওই নারী পড়ে আছেন।
ভোলা সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স দেবি মল্লিক জানান, নির্যাতিতা ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
ভোলা সদর হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. গোলাম রাব্বী জানান, রোগীকে সুস্থ করার জন্য তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সকালে বোর্ড বসিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সাদেকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সকল আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
গত ১৫ জানুয়ারি স্বামীর খোঁজ করতে গিয়ে ভোলার চরফ্যাশনে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক নারী পোশাক শ্রমিক। এর চার সপ্তাহ পর গত রবিবার একই উপজেলায় ট্রলারের ভেতরে এক তরুণীকে গণধর্ষণের খবর পাওয়া যায়